शर्छ अझ । >3&○ তখনও সংলগ্ন ; সেই মাংসরাশি ত্যাগ করে” সে যেন তখনি আসচে ; তার পর, অৰ্দ্ধশ্রাত-বর্ণে—ভাবার্থ কেবল অনুমান করা যায় মাত্র এইরূপ অস্পষ্ট ভাষায়—কুমারের নিকট হাপাতে হাপাতে এসে এইরূপ বলতে লাগল ঃ—মহারাজকুমার ! এই বৃহৎ সরোবরের তীরে, দুইটি পদের অনুরূপ পদ-পংক্তি দেখা গেছে -- তার মধ্যে একটি যেন স্থল পার হয়ে এসেচে—আর একটি যেন তা নয়। “কুমারের যথা আদেশ” – এই কথা বলে’ আমরা সবাই ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে তার পিছনে পিছনে যাত্রা করলেম। আর ভগবান বাসুদেব সেই সরোবর তীরে এসে দুৰ্য্যোধনের পদ-চিহ্ল চিনতে পেরে বল্লেন —“দেখ বৃকোদর, সুযোধনের সলিল-স্তম্ভনী বিদ্যা জানা আছে, নিশ্চয় সে তোমার ভয়ে এই সরসীর মধ্যে শুয়ে আছে।” কৃষ্ণের এই কথা শুনে, সলিলচারী সৈন্তগণ সরোবরের চারিদিকে ভ্রমণ করে’ সরোবরের জল আলোড়িত করতে লাগল, ভয়ে.কুম্ভীরের জল থেকে উঠে পড়ল; কুমার বৃকোদর তখন ভৈরব গর্জনে বলতে লাগলেনঃওরেরে বৃথা-প্রখ্যাত অলীক-পৌরুষাভিমানি পঞ্চাল-রাজতনয়া-কেশাকর্ষক মহাপাতকি ধৃতরাষ্ট্র-পুত্ৰাধম! শুদ্ধ চন্দ্রকুলে জন্ম— এই পরিচয় দিয়া এখনো কি গদা তুমি করিছ ধারণ ? দুংশাসন-রক্ত-পানে যে অরি প্রমত্ত এবে তার সনে করিবে কি তুমি সম্ভাষণ ? দপ-মদে অন্ধ হয়ে মধুকৈট-দৈত্য সম হরি সনে হয়েছিলে প্রবৃত্ত সমরে ;
পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/১৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।