पर्छ अझ । Yos হতভাগ্য আম প্রতি সহসা বিমুখ হলে —এ কি তব ভাব ? ( দ্রৌপদীর নিকটে গিয়া) পাঞ্চলি! ওঠে ওঠো—দেখ আমা, দের উভয়েরি সমান দুঃখ। তুমি মূৰ্ছিত হয়ে আবার কেন আমাকে ব্যাকুল কর বল দিকি ? ত্রেী।–(সংজ্ঞা লাভ করির ) নাথ ! ভীমসেন! দুঃশাসন আমার যে চুল খুলে দিয়েচে, দুৰ্য্যোধনের রক্ত হাতে মেখে তুমি ত৷ আবার বেঁধে দেও। ওলো বুদ্ধিমতিকে ! তোর সম্মুখেই তো নাথ ঐরূপ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। আর, “এইবার চুল-বাধা আরম্ভ কর” এই কথা বাস্থদেবও তো আজ্ঞা করেছিলেন। এখনি তবে ফুলের মালা এনে আমার চুল বেঁধে দেও, পুরুষোত্তমের কথা রাখে; তিনি কখন অলীক কথা বলেন না। অথবা, শোক-সস্তপ্ত হয়ে আমি এ কি কথা বলুচি ?—ন, সে কিছু নয়, আমি এখন সেই দূর-গত আৰ্য্যপুত্রের অনুগামী হই । মহারাজ ! আমার চিতা জালাও, তুমিও ক্ষাত্রধৰ্ম্মের অনুবৰ্ত্তী হয়ে সেই জীবনহারী নাথের অভিমুখী হও । যুধি –পাঞ্চালী ঠিক কথা বলেচেন। দেখ কক্ষুকি! আমিও চি তার ভাগী হয়ে এই হতভাগিনীর দুঃখ উপশম করি। তুমি আমার ধন্থ সজ্জিত করে নিয়ে এসো; কিন্তুনা—এখন ধনুতেই বা কি হবে? ধনু করি বিসর্জন যাই আমি রণ-মাঝে ভীম-অঙ্গ-রক্ত-মাখ। গদা হন্তে লয়ে ৷ ভ্রাতৃ-অনুরাগ-বশে অর্জন করিল যাছ । মোরো পক্ষে তাই শ্রেয় —কি হবে বিজয়ে ?
পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।