দ্বিতীয় অঙ্ক । কধুকীর প্রবেশ । কধু —মহারাজ দুৰ্য্যোধন আমাকে এই আদেশ করলেন —“দেখ বিনয়ন্ধর, তুমি শীঘ্র গিয়ে দেবী ভানুমতীকে অন্বেষণ কর তিনি মাতৃগণের পাদবন্দনাদি করে ফিরে এসেছেন কি না জেনে এসো। কেননা, তাকে দর্শন করে তার পর রণক্ষেত্রে গিয়ে কর্ণ, জয়দ্ৰথ, প্রভৃতি অভিমনুা-নিহস্ত ক্ষত্রিয়গণকে সম্মানের সহিত অভিনন্ন করতে হবে।” তাই, আমার এখন শীঘ্র যেতে হবে । কি আশ্চৰ্য্য! সকলই মহারাজের ইচ্ছা ; তার নিয়োগেই, বাৰ্দ্ধক্যে অভিভূত হয়েও, কেবল মাত্র পদমর্য্যাদা রক্ষার জন্য এই অন্তঃপুরে আমার এখন বাস করতে হচ্চে ; অথবা, জরাকেই বা বৃথা কেন তিরস্কার করি, অন্তঃপুরকৰ্ম্মচারী মাত্রেরই তো আমার মত বেশভূষা ও আমার মত, চেষ্টা-চরিত্র। দেখ, তাই :– । —যথার্থই থাকে যদি, উদ্ধে কিছু—তবু নাহি উদ্ধে কভু করি গো দর্শন। - শুনেও শুনি ন ফুন, শক্তি থাকিলেও দেহে হাতে যষ্টি করি গো ধারণ। ভূমি মাড়াইয়া চলি মর্ন দিয়া সযতনে, উদ্ধত ভাবে কভু না করি গমন । যাহা করি, সকলিসে জীবিকার অনুরোধে –বাৰ্দ্ধক্যজনিত তাহা নহে কদাচন।
পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।