৩৪ বেণীসংহার নাটক। ভুবনের অদ্বিতীয় রত্ন-প্রদীপ ! এই স্বপ্নদর্শনে যদি কিছু অমঙ্গল থাকে, তবে যেন তোমার আরাধনায় আবার তা মঙ্গলে পরিণত হয় । ( অৰ্ঘদান করিয়া) ওলো তরলিকে! আমার ফুলগুলি নিয়ে আয়, অন্য দেবতাদেরও পূজা এই বেলা শেষ করা যাক। - (হস্ত প্রসারণ) রাজা –(ইঙ্গিতে পরিজনদের সরাইয়া পুষ্পাদি স্বয়ং আনয়ন-ও স্পর্শমুখ অনুভব করিয়া পুষ্পাদি ভূতলে নিক্ষেপ ) ভানু।–(সরোষে) कि আশ্চৰ্য্য ! মাটিতে ফুলগুল ফেলে দিয়ে গেল ?—দাসীদের কি বুদ্ধি ! ( ফিরিয়া রাজাকে দেখিয়া লজ্জাভয়ে থতমত ) - রাজা –দেবি ! পরিজনেরা নিতান্ত অনিপুণ—আচ্ছা, আমিই তোমার সেবা করচি, কি করতে হবে আজ্ঞা কর। অগ্নি প্রিয়ে ! সখী পথ-পানে চেয়ে ধবল ও-দীর্ঘ নেত্রে ভয়ে ভয়ে হেথা কেন কর দৃষ্টিপাত ? হাসিয়ে মধুর হাসি যাহা ইচ্ছা আজ্ঞা কর, —সেবা তরে তব দাস কৃতাঞ্জলি-হাত ॥ ভামু —মহারাজ ! আমাকে অনুমতি দেও, আমার কোন ব্ৰত নিয়ম পালন করবার ইচ্ছা আছে। : রাজা –তোমার স্বপ্ন-বৃত্তান্ত আমি সমস্তই শুনেচি। প্রিয়ে! তুমি স্বভাবত মুকুমার, কেন বৃথা আপনাকে এইরূপ কষ্ট দেবে বল দিকি ? - - ভানু –নাথ ! আমার অত্যন্ত ভয় হয়েচে, আমাকে অনুমতি দেও।
পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।