&"? বেণীসংহার নাটক। রাক্ষস । ( শুনিয়া) আরে! আমাকে ডাকে কে ? ( দেখিয়া) আরে!—এ যে দেখচি বসাগন্ধা । বসাগন্ধা! আমাকে ডাক্চিস্ কেন রে ? রাক্ষসী । —কোন রাজর্ষি এই মাত্র মারা পড়েছে, তারি শরীরের চৰ্ব্বি-মাখানো চকচকে তাজা মাংস ও টাটুকী রক্ত আমি এনেছি, এইবার তুমি খাওয়া-দাওয়া কর। রাক্ষস –(সপরিতোষে) বসাগন্ধা ! তুই বড় লক্ষী। এই গরম গরম রক্ত এনে তুই বড় ভাগ করেচিল—আমার বড় তেঞ্চ পেয়েছিল। রাক্ষসী।-রুধির প্রিয়! যেখানে হাতি-ঘোড়-মানুষের রক্তে একেবাবে সমুদ্র হয়ে পড়েচে–পথ চলা ভার সেই যুদ্ধক্ষেত্রে তুমি এত ঘুরে বেড়াচ্চ,—তবু তোমার তেঞ্চ গেল না ?— আশ্চৰ্য্য! রাক্ষস —(সক্রোধে ) আরে বসাগন্ধা ! আমাদের ঠাকুরাণী তার পুত্র ঘটোৎকচের বধে বড় শোক পেয়েছেন, তাই তাকে দেখতে গিয়েছিলেম। - রাক্ষসী ।—হ্যারে রুধির প্রিয় ! এখনও কি হিড়িম্বা দেবীর পুত্র শোক উপশম হয় নি ? রাক্ষস ।—ওগো ! উপশম আর কি করে’ হবে ? তবে অভিমনুবধে সুভদ্র ও দ্রৌপদীও নাকি তারি মতন শোক পেয়েচেন, তাতেই যা একটু সাত্ত্বনা। রাক্ষসী ।-রুধির প্রিয় ! এই নেও, হাতির মাথার খুলির এই টাটুকা মাংস চাটু করে খাও, আর এই তাজা রক্তের মন্ত পান কর । -
পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।