পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী তর্কালঙ্কার । করিব । সুরেশ্বরী। আর এমন কাজ করিবে না ? তর্কালঙ্কার । করিব না । সুরেশ্বরী। এই আসরফি পুকুরের জলে ফেলিয়া দিবে ? : তর্কালঙ্কার । তা-তা” এতটা কাঞ্চনের মায়া ত্যাগ করিতে বলিও না। অবশ্য তুমি রহস্য করিতেছ, সুরেশ্বরি । সুরেশ্বরী । তবে কাঞ্চন লইয়াই থাক, কামিনীর মায়া ত্যাগ কর । আমি আজই গলায় দড়ি দিব ! তর্কালঙ্কার। তা’ হলে—আঁ্যা-ওটা ফেলিয়া দিতে বল ? সুরেশ্বরী। এখনই। অগত্যা তর্কালঙ্কার সেই আসরফি পুষ্করিণীর জলে ফেলিয়া দিতে বাধ্য হইলেন। তারপর সুরেশ্বরী বেণীর অনুগত লোচন বাগদিকে ও কৃষ্ণসর্দারকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং স্বামীর নাম গোপন করিয়া কহিলেন, “শোন লোচনদ, কৃষ্ণদা, আমার মনে হইতেছে জামালপুরের জলিলখা বেণী মামার সর্বনাশ করিয়াছে। তোমরা মামীকে উদ্ধার করিতে প্ৰস্তুত আছ কি ?” লোচন ও কৃষ্ণ সমস্বরে বলিয়া উঠিল, “প্ৰাণ দিতে হয় তাও স্বীকার। তবু মা ঠাকুরাণীকে উদ্ধার করিয়া আনিব। আপনার আর কিছু বলিবার আছে ?” সুরেশ্বরী। না, তোমরা যাহা ভাল বুঝ কর । লোচন ও কৃষ্ণসর্দার একদিনের মধ্যেই ত্ৰিশ চল্লিশ জন বাগদি নমঃশূদ্র ও ভদ্রসন্তান জুটাইয়া লইয়া কামালপুরে রওনা হইল 8)