পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দদশ পরিচ্ছেদ। পারিতেছি। কিন্তু আপনাদের প্রয়োজন না জানিতে পারিলে আমি আপনাদিগকে বিপদের মুখে যাইতে দিতে পারিতেছি না।” যুগল। তবে শুনুন। চণ্ডীর বাড়ীতে আমাদের এক বিপন্ন! ধৰ্ম্ম-মা আছেন। তিনি যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত তখন আমরা বন্দী হই। এখন তিনি কেমন আছেন তাহ জানিবার জন্য আমরা বড়ই উদ্বিগ্ন আছি। গোবিন্দ সিংহ। উভয়ের ধৰ্ম্ম-মা ? রুগ্ন, বিপন্ন কে এই রমণী ? যুগল ও চণ্ডী আর কিছু বলিতে ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন। তাহাতে গোবিন্দ সিংহ বলিলেন, “ আপনারা আমার শয্যাপার্শ্বে যাহাকে দেখিতেছেন। তঁহার সম্মুখে কোন কথা বলিতে দ্বিধাবোধ করিবেন না। ইনি আমার সহোদরাতুল্য, পরম ধাৰ্ম্মিক, পণ্ডিত বেণীমাধব রায় ।” যুগল ও চণ্ডী উভয়েই সহসা চমকিয়া উঠিলেন। তাহা দেখিয়া দলপতি বলিলেন, “ইহার পরিচয়ে তোমরা এমন চঞ্চল হইয়া উঠিলে কেন ?” ای চণ্ডী দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ কবিয়া বুলিলেন, “আমাদের ধৰ্ম্ম-মা ইহা শুনিয়া বেণীমাধব বাঙািহতের ন্যায় স্তব্ধ হইয়া রহিলেন। র্তাহার বাক্যস্ফীৰ্ত্তি হইল না। তখন গোবিন্দ সিংহের অনুরোধে যুগল ও চণ্ডী জয়ার উদ্ধার হইতে আনুপূর্বিক সকল ঘটনা সবিস্তারে বলিতে লাগিলেন। ԳՀ)