পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৫২

ඡන්ද්‍රෝන পরিচ্ছেদ আত্মগােপন করিয়া থাকার বন্দোবস্ত করা হইল। অনেকগুলি দীর্ঘ পাক্ষসী তৈয়ার হইয়া আসিল। চারের ভিতর এক কালী মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইল। একজন তান্ত্রিক পুরোহিত দেবীর পূজারি নিযুক্ত হইলেন। বেণী রায়ের চর সর্বত্র ঘুরিয়া বেড়াইত। মাঝি, পানওয়ালী, বৈষ্ণবী, বারবনিতা, দোকানদার, নাপিত, মুস্কিল আসান প্রভৃতি অনেকে তঁহার গোয়েন্দার কাজ করিত। ইহাদের মুখে কোথাও কোন অত্যাচার উৎপীড়ন হইতেছে জানিতে পারিলে পণ্ডিত ডাকাইতের দল তাহা তৎক্ষণাৎ দমন করিত। ক্ৰমে উহাদের প্রতি লোকের সহানুভূতি বাড়িতে লাগিল। জলিল ও খলিল প্রভৃতির উপর প্রতিহিংসা লইবার জন্য বেণী রায় প্রথম হইতেই অবসর খুজিতেছিলেন। এই দুৰ্ব্বত্ত্বদিগের সহিত জেকি খার ইদানীং মাখামাখি ভাব খুব বাড়িয়া গিয়াছিল। তাহারা ফৌজদারের কুঠিতে কখনও নাচ তামাসা দেখিয়া বেড়াইত, কখনও আপনাদের বাড়ীতে মাইফিল মুজরা দিত, কখনও কোন তরুণীর উপর অত্যাচার করিবার সুযোগ খুজিত। কামালপুর হইতে জলিল ও খলিলকে ধরিয়া আনিতে বেণী রায় যুগল ও চণ্ডীকে সদলবলে পাঠাইয়া দিলেন। তৃতীয় প্রহর রাত্ৰে কামালপুরের সদর ঘাটে পহুছিয়া চণ্ডী যুগলকিশোরকে বলিলেন, “যুগলদা, তুমি খলিলের বাড়ী আক্রমণ করিতে যাও, জলিল বেটার উদ্দেশে আমি যাইব ।” যুগল। কিন্তু দেখো যেন জ্যান্তে ধরিয়া আনিতে পার। SX