পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। পরদিন আলষ্ণু মিঞা হঠাৎ বেণী রায়ের স্বাক্ষরযুক্ত একখানি পত্ৰ পাইলেন। তাহাতে লেখা ছিল, “আমি জানিতে পারিয়াছি, আপনি ঘোরতর অত্যাচারী হইয়াছেন। প্রজাদের উপর দিন দিন আপনার দৌরাত্ম্য বাড়িয়া চলিয়াছে। উপস্থিত, আপনি রামগতি চক্ৰবৰ্ত্তী, রক্ষাকর ঘোষ ও কৃষ্ণধন দাসকে সদরে আটক করিয়া তাহাদের উপর ভয়ানক অত্যাচার করিতেছেন। শুনিতেছি, বাকি খাজনা না দিলে আপনি তাহদের জাতি মারিবেন। উক্ত তিন জন হিন্দু প্ৰজার নিকট আপনার প্রাপ্য খাজান মায় শুদ আমি পাঠাইই দিব। এই পত্ৰ পাইবামাত্ৰ যেন তাহাদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া হয়। আমি আরও জানিতে পারিয়াছি যে, আবদুল সেখের বিধবা স্ত্রীর সম্পত্তি আপনি ছিলেবলে কাড়িয়া লইয়াছেন। ফৌজদারের চক্ষে ধূলা দিলেও আপনি ন্যায়ের নিকট অপরাধী। পত্ৰ পাঠ উক্ত মহিলাকে তাহার সম্পত্তি ফিরাইয়া দিবেন। নচেৎ আপনাকে যেরূপে হউক সায়েস্তা করিয়া জামালগ্ৰামে শান্তি স্থাপন করিতে কুষ্ঠিত হইব না।” আলফু মিঞা পত্ৰ পড়িয়া দাড়িতে হাত বুলাইয়া হাসিতে লাগিলেন। পাশ্বে কাজিম নামক জনৈক পারিষদ বসিয়াছিল। প্রভুকে হাসিতে দেখিয়া দন্ত বাহির করিয়া সেও হাসিতে লাগিল। আলফু মিঞা বলিলেন, “হা হা, কাজিম, হা হা, বড় মজার চিঠি, পড়ে দেখা ।” o