তখন নৌকা চলিল, সোলার ফাত্না চলিল, জালের দড়ি পাড়ের উপর অগণ্য মানুষ চলিতে লাগিল; এক একটা মাছ দশ পনর হাত লাফাইয়া উঠিয়া আবার জলের মধ্যে পড়িতে লাগিল। একটা একটা ঘাইয়ে জল তোলপাড় হইতে লাগিল। ঘাইয়ে ঢেউগুলি গোল হইয়া ক্ৰমে বড় হইতে হইতে ডাঙ্গায় আসিয়া লাগিতে লাগিল। একটা ঢেউএর পর আর একটা ঢেউ, একটা ঘোলের পর আর একটা ঘোল, কত শত যে বৃত্তার্দ্ধ, বৃত্তখণ্ড জলের উপর দেখা গেল, তাহা জ্যামিতির রেখাগণিতওয়ালারাই বুঝিতে পারেন। ক্রমে জাল তারাপুকুরের মাঝামাঝি পৌছিল। তখন সুৰ্য্যদেবের রাঙ্গা কিরণও আসিয়া তারাপুকুরের জল সোণার রঙ করিয়া দিল । কিন্তু এ কি? জাল যে আর টানা যায় না । জালের তলায় এত মাছ পড়িয়াছে যে, দুই নৌকার জেলেরাই জাল টানিয়া উঠাইতে পারিতেছে না। তখন জালের দড়ি নোল করিয়া দেওয়া হইল। কতকগুলি মাছ ঘাই দিয়া লাফাইয়া জালের পিছনে গিয়া পড়িল । তাহারা যখন লাফায়, তখন বোধ হইতে লাগিল যেন, রূপার মাছ বৃষ্টি হইতেছে । মাছগুলা রূপার মত সাদা, মাজা রূপার মত চক্চকে, একটার পর আর একটা পড়িতেছে । চক্চকে রূপার রঙের উপর সূৰ্য্যের সোনালি রঙ পড়িয়া গিয়াছে । সে রঙের মেশামেশিতে এক অপূর্ব্ব শোভা। জাল হাল্কা হইল, আবার জাল টানা আ
পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
