পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৪২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৩৬
বেতালপঞ্চবিংশতি
১৩৬

বধ্যবেশ প্রদানপূর্ব্বক তাহাকে গর্দ্দভে আরোহণ করাইয়া নগরের সমস্ত প্রদেশে ভ্রমণ করাইতে আদেশ দিলেন। চোর প্রায় সকলেরই সর্ব্বনাশ করিয়াছিল সুতরাং সকলেই তাহাকে এই অবস্থায় দেখিয়া অত্যন্ত আহ্লাদিত হইয়া তাহার অশেষপ্রকার তিরস্কার ও রাজার ভূরি ভূরি প্রশংসা করিতে লাগিল।

কিন্তু ধর্ম্মধ্বজনামক বণিকের গৃহের নিকটবর্ত্তী হইলে তাহার কন্যা শোভনা গবাক্ষদ্বার দিয়া চোরকে নয়নগোচর করিয়া তাহার রূপ লাবণ্যে মোহিত হইল এবং তৎক্ষণাৎ আপন পিতার নিকটবর্ত্তিনী হইয়া কহিল তুমি রাজার নিকটে গিয়া যে রূপে পার ঐ চোরকে ছাড়াইয়া আন। বণিক্‌ কহিল যে চোর সমস্ত নগর নির্দ্ধন করিয়াছে যাহার নিমিত্তে রাজার সমস্ত সৈন্য ক্ষয় হইয়াছে এবং রাজারও নিজের প্রাণসংশয় পর্য্যন্ত ঘটিয়াছিল তাহাকে আমার কথায় কখন ছাড়িয়া দিবেন না। শোভনা কহিল যদি তোমার সর্ব্বস্ব দিলেও রাজা উহাকে ছাড়িয়া দেন তাহাও তোমাকে করিতে হইবেক। ফলতঃ যদি তুমি উহাকে না আনিতে পার আমি প্রাণত্যাগ করিব।

ঐ কন্যা ধর্ম্মধ্বজের প্রাণ অপেক্ষাও প্রিয় ছিল সুতরাং সে তাহার নির্বন্ধ উল্লঙ্ঘনে অসমর্থ হইয়া রাজসমীপে গিয়া