ও উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতেছে। জিজ্ঞাসা করিলেন মা তুমি কি নিমিত্ত রোদন করিতেছ। সে গরুড়বৃত্তান্ত বর্ণন করিয়া কহিল অদ্য আমার পুত্ত্র শঙ্খচূড়ের বার ক্ষণকালপরেই গরুড় আসিয়া তাহাকে ভক্ষণ করিবেক। আমার দ্বিতীয় পুত্ত্র নাই। আমি সেই দুঃখে দুঃখিত হইয়া রোদন করিতেছি। জীমূতবাহন কহিলেন মা আর রোদন করিও না। আমি আপন প্রাণ দিয়া তোমার পুত্ত্রের প্রাণ রক্ষা করিব। নাগিনী কহিল বৎস তুমি কি কারণে পরের নিমিত্ত প্রাণত্যাগ করিবে। আর পরের পুত্ত্র দিয়া আপন পুত্ত্র রক্ষা করিলে আমারও অধর্ম্ম ও অকীর্ত্তি হইবেক।
এই রূপে উভয়ে কথোপকথন হইতেছে ইত্যবসরে শঙ্খচূড়ও তথায় উপস্থিত হইল এবং জীমূতবাহনের অভিসন্ধি শুনিয়া তাঁহার পরিচয় গ্রহণপূর্ব্বক বিশেষজ্ঞ হইয়া কহিল মহারাজ অন্যায় আজ্ঞা করিতেছেন। বিবেচনা করিয়া দেখুন আমার মত কত শত ব্যক্তি সংসারে জন্মিতেছে ও মরিতেছে, কিন্তু আপনার ন্যায় ধর্ম্মাত্মা দয়ালু সংসারে সর্ব্বদা জন্মগ্রহণ করেন না। অতএব আমার পরিবর্ত্তে আপনকার প্রাণত্যাগ করা কোন ক্রমেই উচিত ও উপযুক্ত নহে। আপনি জীবিত থাকিলে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তির মহোপকার হইবেক। আমি জীবিত থাকিয়া কোন কালে কাহারও কোন