পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৯১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বেতালপঞ্চবিংশতি
১৮৫

দান করিলেন। রাজা নবপ্রণয়িনীকে সমভিব্যাহারিণী করিয়া রাজধানী প্রতি চলিলেন। কিয়ৎ দূরে গিয়া রজনী উপস্থিত হইল। রাজা ও রাজপ্রেয়সী যথাসম্ভব ফলমূলাদি দ্বারা কথঞ্চিৎ ক্ষুধানিবৃত্তি করিয়া তৰুতলে শয়ন করিলেন।

অর্দ্ধরাত্র সময়ে এক দুর্দান্ত রাক্ষস আসিয়া রাজাকে জাগরিত করিয়া কহিল আমি অত্যন্ত ক্ষুধার্ত্ত হইয়া আসিয়াছি তোমার ভার্য্যাকে ভক্ষণ করিব। রাজা কহিলেন তুমি আমার প্রাণাধিকা প্রেয়সীকে পরিত্যাগ কর অন্য যাহা প্রার্থনা করিবে তাহাই আনিয়া দিব। তখন রাক্ষস কহিল যদি তুমি প্রশস্ত মনে স্বহস্তে দ্বাদশবর্ষীয় ব্রাহ্মণকুমারের মস্তকচ্ছেদন করিয়া আমার হস্তে দিতে পার তাহা হইলে আমি তোমার প্রিয়তমাকে পরিত্যাগ করি। রাজা প্রিয়তমার প্রাণরক্ষার্থে ব্রহ্মহত্যাতেও সম্মত হইলেন এবং কহিলেন তুমি সপ্তম দিবসে আমার রাজধানীতে যাইবে আমি তোমার প্রার্থিত বস্তু প্রদান করিব।

এই রূপে রাজাকে ব্রহ্মধধপ্রতিজ্ঞায় বদ্ধ করিয়া রাক্ষস প্রস্থান করিল। রাজাও প্রভাত হইবামাত্র প্রেয়সীসমভিব্যাহারে রাজধানীতে আসিয়া প্রধান মন্ত্রীর সমক্ষে রাক্ষসবৃত্তান্ত বর্ণন করিলেন। মন্ত্রী কহিল মহারাজ আপনি উৎকণ্ঠিত হইবেন না আমি অনায়াসে এই বিষয় সম্পন্ন করিয়া

২৪