পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২৪
বেতালপঞ্চবিংশতি।

প্রস্থান করিলেন সন্ন্যাসীও রাজাকে শবানয়নে প্রেরণ করিয়া পূজায় বসিলেন।

একে কৃষ্ণচতুর্দশীরাত্রি সহজেই ঘোরতর অন্ধকারে আবৃত তাহাতে ঘনঘণ্টা দ্বারা গগনমণ্ডল আচ্ছন্ন হইয়া মুষলধারায় বৃষ্টি হইতেছিল আর ভূতপ্রেতগণ চতুর্দিকে ভয়ানক কোলাহল করিতেছিল। এইরূপ সঙ্কটে কাহার হৃদয়ে না ভয়সঞ্চার হয়। কিন্তু রাজার তাহাতে ভয় বা ব্যাকুলতার লেশমাত্রও উপস্থিত হইল না। পরিশেষে নানা সঙ্কট হইতে উত্তীর্ণ হইয়া প্রেতভূমিতে উপনীত হইলেন। দেখিলেন কোন স্থলে বিকটমূর্ত্তি ভূত সকল জীবিত মনুষ্য ধরিয়া তাহাদের প্রাণ সংহার করিতেছে। কোন স্থলে ডাকিনীগণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালক ধরিয়া চর্ব্বণ করিতেছে। অনন্তর ইতস্ততঃ অন্বেষণ করিয়া শিরীষবৃক্ষের নিকটে গিয়া দেখিলেন ইহার মূল অবধি অগ্রভাগ পর্য্যন্ত প্রত্যেক বিটপ ও পল্লব ধক্‌ ধক্‌ করিয়া জ্বলিতেছে আর চারি দিকে অনবরত কেবল মার্‌ মার্‌ ধর্‌ ধর্‌ ইত্যাদি ভয়ানক শব্দ হইতেছে।

এই সমস্ত দেখিয়া শুনিয়া রাজা ভয় পাইলেন না। কিন্তু মনে মনে বিবেচনা করিয়া স্থির করিলেন যক্ষ যে সন্ন্যাসীর কথা কহিয়াছিল এ অবশ্যই সেই ব্যক্তি হইবে। পরে ক্রমে ক্রমে বৃক্ষের অত্যন্ত সন্নিহিত হইয়া দেখিলেন শব রজ্জুবদ্ধ অধঃ-