পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৩৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২৮
বেতালপঞ্চবিংশতি

প্রবেশমাত্রেই শ্রান্ত ও আতপতাপিত ব্যক্তির ক্লান্তি দূর হয়। ঐ সরসীর চারি দিকে চারি প্রস্তরময় ঘাট ছিল রাজকুমার অন্যতম দ্বারা অবতীর্ণ হইয়া হস্ত মুখ প্রক্ষালন করিলেন।

অনতিদূরে এক মহাদেবের মন্দির ছিল। বজ্রমুকুট সমীপবর্ত্তী বকুলবৃক্ষের স্কন্ধে অশ্ব বন্ধনপূর্ব্বক মন্দিরমধ্যে প্রবেশ ও দর্শনপ্রণামাদি করিয়া কিয়ৎ ক্ষণ পরে বহির্গত হইলেন। ঐ সময়মধ্যে এক রাজকন্যাও স্বীয় সহচরীবর্গের সহিত সেই সরোবরের অপর পারে উপস্থিত হইয়া স্নান পূজা সমাপনপূর্ব্বক বৃক্ষের ছায়াতে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। দৈবযোগে তাঁহার ও নৃপতনয়ের চারি চক্ষু একত্র হইল। তদীয় নিৰুপম সৌন্দর্য্য সন্দর্শনে নৃপনন্দন মোহিত হইলেন। রাজপুত্ত্রীয় নৃপকুমারকে নয়নগোচর করিয়া কৃতার্থম্মন্যা হইয়া শিরঃস্থিত পদ্ম হস্তে লইলেন। অনন্তর কর্ণসংযুক্ত করিয়া দন্ত দ্বারা ছেদনপূর্ব্বক পদতলে নিক্ষেপ করিলেন। পুনর্বার গ্রহণ ও হৃদয়ে স্থাপন করিয়া বারংবার রাজতনয়ের প্রতি সতৃষ্ণ দৃষ্টিপাত করিতে করিতে স্বীয় প্রিয়বয়স্যাগণের সহিত স্বস্থানে প্রস্থান করিলেন।

কুমারী ক্রমে ক্রমে দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইলে রাজকুমার বিরহবেদনায় অতিশয় ব্যাকুল হইলেন এবং সর্ব্বাধিকারি-