পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৩৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩০
বেতালপঞ্চবিংশতি

করিব। বন্ধুর এইরূপ বাক্য শুনিয়া অমাত্যকুমার মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন আর এখন উপদেশ দ্বারা ধৈর্য্যসম্পাদনের সময় নাই। এ নিতান্ত অধীর হইয়াছে। অতঃপর কোন উপায় চিন্তা করা উচিত। এইরূপ নিশ্চয় করিয়া কুমারকে জিজ্ঞাসা করিলেন বয়স্য প্রস্থানকালে সেই সীমন্তিনী তোমাকে কিছু কহিয়াছিল কিংবা তুমি তাহাকে কিছু কহিয়াছিলে। রাজপুত্ত্র কহিলেন না বয়স্য আমি তাহাকে কিছু কহি নাই এবং সেই সর্ব্বাঙ্গ সুন্দরীও আমাকে কোন কথা কহে নাই। তখন অমাত্যপুত্ত্র কহিলেন তবে তাহার সমাগম দুঃসাধ্য বোধ হইতেছে। রাজপুত্ত্র কহিলেন যদি সেই সুলোচনা লোচনানন্দদায়িনী না হয় আমি প্রাণত্যাগ করিব। তখন তিনি অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া পুনরায় কহিলেন ভাল বয়স্য জিজ্ঞাসা করি প্রস্থানসময়ে সে কোন সঙ্কেত করিয়াছিল কি না।

রাজকুমার কমলবৃত্তান্ত বর্ণন করিলেন। তখন অমাত্যপুত্ত্র কহিলেন সথে আর চিন্তা নাই আমি তৎকৃত সঙ্কেতের তাৎপর্য্যাগ্রহ করিয়াছি এবং তাহার নাম ধান জানিতে পারিয়াছি। এখন প্রতিজ্ঞা করিতেছি অল্পকালমধ্যেই তাহার সহিত সমাগম সম্পন্ন করিয়া দিব। অধিক ব্যাকুল হইলেই অভীষ্টসিদ্ধি হয় না ধৈর্য্য অবলম্বন কর। তখন