পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৪৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪২
বেতালপঞ্চবিংশতি
৪২

তাহার বিশ্বাস জন্মাইয়া দিবা যাপন করিবে। পরে সে নিদ্রাগতা হইলে তদীয় সমস্ত আভরণ হরণপূর্ব্বক তাহার বাম জঙ্ঘাতে এক ত্রিশূলের চিহ্ন দিয়া চলিয়া আসিবে। রাজপুত্ত্র সহিত হইলেন এবং পদ্মাবতীর নিকটে গিয়া পূর্ব্বাপেক্ষায় সমধিক প্রীতি প্রকাশ করিলেন। পরে রজনীযোগে উভয়ে শয়ন করিলে রাজকন্যা সে দিবস ত্বরায় নিদ্রাভিভূতা হইলেন। কুমার দেখিলেন পদ্মাবতী সুষুপ্তিপ্রাপ্তা হইয়াছেন। তখন মন্ত্রিপুত্ত্রের উপদেশানুরূপ সমস্ত সম্পাদন করিয়া বৃদ্ধার আবাসে উপস্থিত হইলেন।

পর দিন প্রভাতে মন্ত্রিপুত্ত্র সন্ন্যাসীর বেশ ধারণপূর্ব্বক এক শ্মশানে উপস্থিত হইলেন এবং স্বয়ং গুরু হইয়া রাজপুত্ত্রকে শিষ্য করিয়া কহিলেন তুমি নগরে গিয়া এই অলঙ্কার বিক্রয় কর। যদি কেহ তোমাকে চোর বলিয়া ধরে তাহাকে আমার নিকটে লইয়া আসিবে। রাজপুত্ত্র তাঁহার বচনানুসারে ভূষণগ্রহণপুরঃসর নগর প্রবেশ করিয়া রাজসদনের সমীপস্থিত স্বর্ণকারের নিকট বিক্রয়ার্থ উপস্থিত হইলেন। সে দর্শনমাত্র বিস্ময়াপন্ন হইয়া মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিল কিয়ৎ দিবস হইল আমি রাজকন্যার নিমিত্ত এই সকল অলঙ্কার গড়িয়া দিয়াছি ইহার হস্তে কি প্রকারে আইল। এ ব্যক্তিকে বৈদেশিকে দেখিতেছি। অনন্তর