পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৬৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৩
বেতালপঞ্চবিংশতি
৬৩

অবগত হইয়া কহিলেন মহারাজ চন্দ্রাবতী নামে এক অতিরূপবতী রমণী আছে। গণনা দ্বারা দৃষ্ট হইতেছে তাহার সহিত আপনকার পরিণয় হইবেক। রাজা শুনিয়া শুকের প্রতি অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন। পরে এক সদ্বক্তা চতুর বুদ্ধিমান্‌ কার্য্যসাধক ব্রাহ্মণকে অনাইয়া নানা উপদেশ দিয়া শুভসম্বন্ধস্থিরীকরণার্থে মগধেশ্বরের নিকট পাঠাইলেন।

চন্দ্রাবতীর নিকটেও মদনমঞ্জরী নামে এক শারিকা থাকিত। তাহারও সর্ব্বজ্ঞতাখ্যাতি ছিল। তিনি এক দিবস তাহাকে জিজ্ঞাসিলেন শারিকে যদি তুমি ভূত ভবিখ্যৎ বর্ত্তমান সমুদায় বলিতে পার আমার যোগ্য পতি কোথায় আছেন বল। শারিকা কহিল রাজনন্দিনি আমি দেখিতেছি ভোগবতী নগরীর অধিপতি রাজা অনঙ্গসেন তোমার পতি হইবেন। ফলতঃ অনঙ্গসেন ও চন্দ্রাবতী উভয়েরই এই রূপে শ্রবণ দ্বারা অন্তরে অনুরাগ সঞ্চার হইল এবং সমাগমাভাব প্রযুক্ত উভয়েরই ক্রমে ক্রমে পূর্ব্বরাগসম্ভব স্মরদশার উদয় হইতে লাগিল।

কিয়ৎ দিন পরে অনঙ্গসেনের প্রেরিত ব্রাহ্মণ নগধেশ্বরের নিকট উপস্থিত হইয়া স্বীয় রাজার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে তিনি তৎক্ষণাৎ সম্মত হইলেন এবং বাগ্দানের দ্রব্য সমুদায় সমভিব্যাহারে দিয়া এক ব্রাহ্মণকে ঐ ব্রাহ্মণের সহিত