পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৭২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৬
বেতালপঞ্চবিংশতি
৬৬

নিমিত্ত তিনি সর্ব্বদাই মনোদুঃখে কালযাপন করেন। কিয়ৎ দিন পরে জগদীশ্বরের কৃপায় তাঁহার সহধর্ম্মিণী এক কুমার প্রসব করিলেন। শ্রেষ্ঠী অধিক বয়সে পুত্ত্রমুখ নিরীক্ষণ করিয়া আপনাকে কৃতার্থ বোধ করিলেন এবং পুত্ত্রের নাম নয়নানন্দ রাখিয়া অতিযত্নপূর্ব্বক লালনপালন করিতে লাগিলেন। বালক পঞ্চমবর্ষীয় হইলে তিনি তাহাকে বিদ্যাভ্যাসের নিমিত্ত উপযুক্ত শিক্ষকের হস্তে সমর্পণ করিলেন। সে স্বভাবদোষবশতঃ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়া কেবল দুর্বৃত্ত বালকগণের সহিত কুৎসিত ক্রীড়ায় আবিষ্ট হইয়া কালযাপন করে ক্ষণমাত্রও অধ্যয়নে মনোনিবেশ করে না। ফলতঃ ক্রমে ক্রমে যত বয়োবৃদ্ধি হইতে লাগিল ততই তাহার কুক্রিয়াসক্তিও বৃদ্ধি পাইতে লাগিল।

কিয়ৎ কাল পরে শ্রেষ্ঠী পরলোক প্রাপ্ত হইলেন। নয়নানন্দ সমস্ত পৈতৃক ধনের অধিকারী হইয়া দ্যূতক্রীড়া সুরাপান আদি ব্যসনে আসক্ত হইল এবং কয়েক বৎসরের মধ্যে দুষ্ক্রিয়া দ্বারা সমস্ত ধন নষ্ট করিয়া অত্যন্ত দুর্দশায় পড়িল। পরে সে ইলাপুর পরিত্যাগপূর্ব্বক মানা দেশ ভ্রমণ করিয়া পরিশেষে চন্দ্রপুরনিবাসী হেমগুপ্ত শেঠের নিকট উপস্থিত হইল এবং স্বনাম ও পিতৃনাম উল্লেখপূর্ব্বক আত্মপরিচয় প্রদান করিল। হেমগুপ্ত তাহার পিতার পরম বন্ধু ছিলেন