পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৭৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৮
বেতালপঞ্চবিংশতি
৬৮

এ অতিসদ্বংশজাত পৈতৃক অতুল অর্থসম্পত্তির ন্যায় পৈতৃক অতুল গুণসম্পত্তিরও উত্তরাধিকারী হইয়াছে সন্দেহ নাই। অতএব ত্বরায় দিন স্থির করিয়া ইহার সহিত কন্যার বিবাহ দি। মনে মনে এইপ্রকার কল্পনা করিয়া শ্রেষ্ঠিনীর নিকটে গিয়া কহিলেন দেখ এক শ্রেষ্ঠীর পুত্ত্র উপস্থিত হইয়াছে সে সৎকুলোদ্ভব। তাহার পিতার সহিত আমার অতি আত্মীয়তা ছিল। যদি তোমার মত হয় তাহার সহিত রত্নাবতীর বিবাহ দেওয়া যায়।

শ্রেষ্ঠিনী শুনিয়া সন্তুষ্ট হইয়া কহিলেন ভগবানের ইচ্ছা না হইলে এরূপ ঘটে না। বিনা চেষ্টায় মনস্কাম সিদ্ধ হওয়া অতি ভাগ্যের কথা। অতএব বিলম্বের প্রয়োজন নাই ত্বরায় পুরোহিত ডাকাইয়া দিন স্থির করিয়া শুভ কর্ম্ম সম্পন্ন কর। শ্রেষ্ঠী এই রূপে ভার্য্যার সম্মতি বুঝিয়া মহাধননন্দনের নিকটে গিয়া আপন অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলেন। সে তৎক্ষণাৎ সম্মত হইল। তখন তিনি পুরোহিত ডাকাইয়া শুভ দিন ও শুভ লগ্ন নির্দ্ধারিত করিয়া মহাসমারোহে কন্যার বিবাহ দিলেন। বর কন্যা পরম কৌতুকে কালযাপন করিতে লাগিল।

কিয়ৎ দিন পরে নয়নানন্দ মনোমধ্যে কোন অসৎ অভিসন্ধি করিয়া আপন পত্নীর নিকট কহিল দেখ অনেক কাল হইল আমি স্বদেশে যাই নাই এবং বন্ধুবর্গেরও কোন