পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৭৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৭৩
বেতালপঞ্চবিংশতি
৭৩

কৃতাঞ্জলি হইয়া ভিক্ষা করি ছাড়িয়া দাও। বারংবার এইপ্রকার কাতরোক্তি প্রয়োগ করিতে লাগিলেন নির্দয় দস্যুরা তথাপি তাঁহাকে বন্ধন করিয়া লইয়া গেল। তৎপরে ছাড়িয়া দিল কি মারিয়া ফেলিল কিছুই জানিতে পারি নাই। তখন তাহার পিতা কহিলেন বৎসে তুমি উৎকণ্ঠিত হইও না। আমার অন্তঃকরণে লইতেছে তোমার পতি জীবিত আছেন। চোরেরা অর্থপিশাচ অর্থ হস্তগত হইলে আর অকারণে প্রাণনাশ করে না। এই রূপে অশেষবিধ আশ্বাস ও প্রবোধ দিয়া অবিলম্বে আর একপ্রস্থ অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া দিলেন।

এ দিকে নয়নানন্দ আপন ভবনে উপস্থিত হইয়া সেই অলঙ্কার বিক্রয় দ্বারা অর্থসংগ্রহ করিয়া দিবারাত্র দ্যূতক্রীড়া ও সুরাপান দ্বারা কালক্ষেপ করিতে লাগিল এবং কিয়ৎ দিনের মধ্যেই পুনর্বার নিঃস্বভাবাপন্ন ও অন্নবস্ত্রবিহীন হইয়া মনে মনে বিবেচনা করিল আমি যে কুব্যবহার করিয়াছি তাহা শ্বশুরালয়ে কোন প্রকারেই প্রকাশ পায় নাই। অতএব কোন ছল করিয়া তথায় উপস্থিত হই। পরে দুই চারি দিন অবস্থিতি করিয়া সুযোগক্রমে কিঞ্চিৎ অপহরণ করিয়া পলাইয়া আসিব। মনে মনে এই দুই সঙ্কল্প করিয়া শ্বশুরালয়ে উপস্থিত হইল এবং প্রবেশ করিবামাত্র সর্ব্বাগ্রে স্বীয় পত্নী রত্নাবতীর দৃষ্টিপথে পতিত হইল।