পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৮৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮২
বেতালপঞ্চবিংশতি
৮২

নিকটবর্ত্তী বটবৃক্ষবাসী এক পিশাচও ঐ কৌতুক দেখিতেছিল। সে মনে মনে কল্পনা করিল এই সুযোগে এই দুশ্চরিত্রাকে সমুচিত দণ্ড দিতে হইল। এই বলিয়া তদীয় প্রিয়তমের মৃত শরীরে আবির্ভূত হইয়া দন্ত দ্বারা জয়শ্রীর নাসিকাচ্ছেদনপূর্ব্বক পুনরায় আপন আবাসবৃক্ষে আরোহণ করিল। চোর এই সমস্ত অবলোকন করিয়া চমৎকৃত হইতে লাগিল।

জয়শ্রীর জ্ঞানোদয় হইল। সে তৎক্ষণাৎ প্রিয়তমকে মৃত নিশ্চয় করিয়া সখীর নিকটে আসিয়া পূর্ব্বাপর সমস্ত বর্ণন করিয়া কহিল সখি আমি অকস্মাৎ এই আপদে পড়িয়াছি কি উপায় করি বল। গৃহে গিয়া পিতা মাতার নিকট মুখ দেখাইতে পারিব না। তাঁহারা কারণ জিজ্ঞাসিলে কি উত্তর দিব। বিশেষতঃ আজি আবার সেই সর্ব্বনাশিয়া আসিয়াছে সেই বা দেখিয়া শুনিয়া কি মনে করিবেক। সখি তুমি আমাকে বিষ আনিয়া দাও খাইয়া প্রাণত্যাগ করে তাহা হইলেই সকল আপদ্‌ ঘুচিয়া যায়। এই বলিয়া শিরে করাঘাত করিতে লাগিল। সখী শুনিয়া বিস্ময়াপন্না ও নিরুত্তরা হইয়া রহিল।

কিয়ৎ ক্ষণ পরেই জয়শ্রী আপন উৎপন্নমতিত্ববলে এক উপায় স্থির করিয়া কহিল সখি আর চিন্তা নাই উত্তম উপায় স্থির করিয়াছি শুন দেখি সঙ্গত হয় কি না। আমি এই অবস্থায় গৃহে গিয়া শয়নমন্দিরে প্রবেশপূর্ব্বক চীৎকার