পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া, অবিদ্যা । brot প্রয়োগ আছে, অথবা তাহার অদ্বৈতবাদের মূল অভিপ্রায় সকল ব্যাখ্যা করিবার ছলে নবীন অদ্বৈতবাদিরা স্ব স্ব গ্রস্থে যে সকল বৈদান্তিক প্রয়োগ ব্যবহার করিয়াছেন তাহা অগ্ৰেই বুঝা উচিত। সেই সকল প্রয়োগ এক একটি পারিভাষিক শব্দ দ্বারা ব্যক্ত হইয়া থাকে যথা—মায়া, আবিদ্যা, সমষ্টি, ব্যষ্টি, পঞ্চকোষ, উপাধি, অধ্যাস, অপবাদ-ন্যায়, অধ্যারোপ-ন্যায়, আবরণ-শক্তি, বিক্ষেপ-শক্তি, ঈশ্বর-চৈতন্য, জীব-চৈতন্য, তুরীয়ব্ৰহ্ম-চৈতন্য, কুটস্থ-চৈতন্য, আভাস-চৈতন্য - এবং তত্ত্বমসি প্রভৃতি মহাবাক্য।—এইসকল শব্দের অর্থবোধ হইলে অদ্বৈত-প্রতিপাদক বেদান্ত দর্শনে প্রবেশাধিকার জন্মে। মায়া ও অবিদ্যা । ৯৩ । এ জগৎ ছিল না । ইহাকে স্বষ্টি করিবার শক্তি পরমেশ্বরেতে ছিল। কিন্তু তাহার সম্পূর্ণ শক্তিই যে স্বষ্টিশক্তি তাহা নহে। তাহার এক বিন্দু শক্তি মাত্র জগতের প্রসূতি। সেই শক্তির নাম প্রকৃতি গ্রু ৯৪ । পরমেশ্বর সত্তা ও স্বরূপে সৰ্ব্বব্যাপী । তাহার বাহির নাই। সবই তাহার মধ্যগত । অতএব জগৎ-রচনার সমুদয় কর্তৃত্ব র্তাহার মধ্যগত । কোন কোন বাদীরা যেমন কহেন যে, জগতের উপাদান সকল, যথা পরমাণু ও জীব, পরমেশ্বর হইতে স্বতন্ত্র ছিল, তিনি তাহাদিগকে যোজনা করিয়া জগৎ করিলেন, বেদান্তদর্শন তাহ বলেন না । বেদান্ত বলেন যে, পরমেশ্বরের স্বষ্ট্রি-শক্তি অনিৰ্ব্বচনীয়, তাহার দ্বারা ബ

  • আমার স্থষ্টিগ্রন্থে হিরণ্যগৰ্ভ প্ৰং দৃষ্টি করহ।