পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত প্রবেশ وھابیb তিনি কর্তৃত্ব ও উপাদান উভয়ই স্বষ্টি করিতে পারেন এবং সেই কর্তৃত্ব ও উপাদান উভয়কে সংযোগ পূর্বক এই অচিন্ত্যরচনা বিশ্ব নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । এই ভাবের ভাবুক হইয়া আচার্ষ্যেরা কহিয়াছেন যে, তিনি আপনি যেমন কৰ্ত্তা, সেই রূপ আপনিই কাৰ্য্যরূপ * ৯৫ । বেদান্ত শাস্ত্রের আলোচনায় ঐ ভাবটিকে ক্ষণকালের নিমিত্তে বিস্মৃত হইলেও নানা ভ্ৰম আসিয়া হৃদয়কে আচ্ছন্ন করিবে । অতএব আমি ঐ ভাবটি স্থির রাখিয়া প্রকৃত প্রস্তাবের দিকে অগ্রসর হইতেছি। ” 載 ৯৬। পরমেশ্বর প্রকৃতির সহিত আপনি যখন কর্তা-রূপ হন, তখন ঐ প্রকৃতিকে “মায়া” কহ যায়। আর যখন প্রকৃতির সহিত কাৰ্য্য-রূপ হন তখন ঐ প্রকৃতিকে “অবিদ্যা” বলে । ৯৭ । কারণ-রূপা প্রকৃতি যে মায় তাহারই শ্রেষ্ঠত্ব, এবং কাৰ্য্য-রূপা প্রকৃতি যে অবিদ্যা তাহার নিকৃষ্টত্ব কথিত হয়। তদনুসারে মায়াকে ‘বিশুদ্ধ-সত্ব-প্রধান’ অথবা ‘নিৰ্ম্মল-সত্ত্বগুণ-বিশিষ্ট কহিয়াছেন । এবং অবিদ্যাকে তমোমিশ্রিত সত্ত্বপ্রধান’ অথবা ‘মলিন-সত্ত্বগুণ-বিশিষ্ট বলিয়াছেন। অবিদ্যারও আবার উৎকৃষ্ট ও অপকৃষ্ট অংশ আছে। সেই উৎকৃষ্ট অংশে জীবের উৎপত্তি হয়ণ এবং অপকৃষ্ট অংশে জীবের ভোগার্থে ঈশ্বরের আজ্ঞায় পঞ্চভূত, ইন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি, প্রাণ উৎপন্ন হইয়া থাকে ।

  • এই অবস্থায় পরমেশ্বর সাধারণতঃ ‘সস্থতি, হিরণ্যগৰ্ভ, বা ‘কার্য্যব্ৰহ্ম’

নামে অভিহিত হন। (ঈশা ১২—১৪) - আমার স্বষ্টিগ্রন্থে ২৮২৯ ও ৭৭৭৮ ক্রম দেখহ। অর্থাৎ নিকৃষ্ট প্রকৃতি হইতে জড় এবং উৎকৃষ্ট হইতে জীব হইয়াছে।