পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া, অবিদ্যা । , br" ৯৮। জগৎ-কাৰ্য্যরূপ প্রকৃতি যে অবিদ্যা, জীব তাহারই মধ্যে আচ্ছন্ন। স্থতরাং আপনি ব্রহ্মস্বরূপোৎপন্ন হইয়াও আপনাকে বা ব্রহ্মকে জানিতে পারে না । ভ্ৰমে অনাত্মাকে আত্মা বলিয়া গ্রহণ করে । অবিদ্যার এই আচ্ছাদক শক্তির নাম “ আবরণ-শক্তি’ এবং ঐ ভ্রমের নাম “অধ্যাস”। তদ্বিষয়ে পরে উক্ত হইবে। এইভাবে অবিদ্যার প্রচলিত অর্থ অজ্ঞান। যথার্থ সত্য বস্তু যে পরমাত্মা, তাহার অবধারণই জ্ঞান ও বিদ্যা । 轟 து சி ৯৯ বর্জ্জসনেয় সংহিতোপনিষদে “অবিদ্য” ও “বিদ্যার: আর এক প্রকার অর্থ পাওয়া যায় । “অন্ধং তমঃ প্রবিশন্তি যেহবিদ্যামুপাসতে। ততোভূয়ইব তে তমো য উ বিদ্যায়াং রতাঃ।” য়াহার (“অবিদ্যাং” কি না, বিদ্যায়াঃ অন্যাং কৰ্ম্মেত্যর্থঃ তাং অগ্নিহোত্রাদিলক্ষণামেধ কেবলাং উপাসতে) কেবল যজ্ঞাদি কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করে তাহারা অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে আবৃত যে লোক তাহাতে গমন করে। আর, যাহার (“বিদ্যায়াং রতাঃ” কি না, দেবতা-জ্ঞানে অভিরতাঃ) কেবল দেবতা-জ্ঞানে রত হয়, তাহারা তাহ অপেক্ষা অধিকতর অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে আবৃত যে লোক তাহাতে গমন করে। এই বচনে এবং ইহার পরবর্তী আরো কয়েকটি বচনে, “অবিদ্যা” শব্দে যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম এবং “বিদ্যা” শব্দে দেবতার জ্ঞান বুঝায় ; কিন্তু উভয়ই নিন্দিত হইয়াছে। কিন্তু শঙ্করভাষ্যে অবিদ্যার অর্থ ব্রহ্মকে না জানা, এবং বিদ্যার অর্থ উাহাকে জানা বলিয়া উক্ত হইয়াছে । শ্ৰীমান সদানন্দ যোগীন্দ্র প্রণীত বেদান্তসার-গ্রন্থে “অবিদ্যা” শব্দ নাই। তথা, যে অজ্ঞানের ব্যষ্টি আর সমষ্টি দুইটী অবস্থা প্রদর্শিত হইয়াছে