পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Ե- বেদাস্ত প্রবেশ । তাহাই পঞ্চদশীতে ক্রমে মায় এবং অবিদ্যা বলিয়া উক্ত হইয়াছে। উপরি উক্ত বচনটি হইতে অনুমান হইতেছে যে, পূৰ্ব্বকালে ব্রহ্মজ্ঞান প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম, ‘অবিদ্যা’ কি না, অজ্ঞানের কার্য্য বলিয়া নিন্দিত হইয়াছিল। তৎকালে অগ্নিহোতৃ-কৰ্ম্মীগণ হইতে ভিন্ন এবং উপনিষৎ-মতাবলম্বী ব্ৰহ্মজ্ঞানী হইতেও ভিন্ন একটি মাধ্যমিক সম্প্রদায় ছিলেন। র্তাহারা পরমেশ্বর হইতে পরমেশ্বরের শক্তিকে পৃথক্ করিয়া সেই শক্তির ও হিরণ্যগর্ভ অর্থাৎ ব্রহ্মার উপাসনা করিতেন। সেইপ্রকারদেবতা জ্ঞানকে উক্ত মাধ্যমিক উপাসকের ‘বিদ্যা” বলিয়াই জানিতেন। ফলে সে বিদ্যা ব্রহ্ম-বিদ্যা নহে। . সমষ্টি ব্যষ্টি। ১০০ । ‘সমষ্টি শব্দে সমুদায় । ‘ব্যষ্টি শব্দে সমষ্টির অন্তর্গত প্রত্যেক । সমুদায় জীবের স্বজন পালনে যে মায়। নিযোজিত আছে তাহাই সমষ্টি । এবং প্রত্যেক জীবে যে অবিদ্যা কাৰ্য্যরূপে পরিণত হইয়াছে তাহাই ব্যষ্টি । শরীর ত্ৰিবিধ ; কারণ, সূক্ষ এবং স্থল। জীবাত্মার মূল বীজ অবস্থা যাহা অবিদ্যা-প্রকৃতির ক্রোড়ে অব্যক্ত থাকে—যথা স্থষুপ্তি সময়ে —তাহাকে কারণ শরীর বলে। সমুদয় জীবাত্মার, প্রকৃতির ক্রোড়স্থ সেই অব্যক্ত অবস্থাতে পরমেশ্বর যখন কর্তৃত্ব ও নিয়ন্তত্বে উপহিত থাকেন তখন র্তাহাতে সমষ্টি ভাবের প্রয়োগ হয়। সেই সমষ্টি অবস্থাতে তাহাকে ঈশ্বর বলা যায়। এবং প্রত্যেক জীবের তাদৃশ অব্যক্ত অবস্থাতে

  • অখুব জীব-স্থষ্টির প্রাক্কালে জীবের প্রকৃতি-নিহিত অব্যক্ত অবস্থায় ।