পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যষ্টি, সমষ্টি । - Ն: ব্যষ্টিভাবে এবং কাৰ্য্যরূপে র্তাহাকে প্রাজ্ঞ বলা যায়। আর জীবাত্মার অপেক্ষাকৃত ব্যক্ত অবস্থায় যে বুদ্ধি, মন, অহংকার ও ইন্দ্রিয়ের উদয় হয়—যথা স্বপ্নকালেঞ্চ তাহাকে সূক্ষ-দেহ অথবা লিঙ্গশরীর কহে। সমুদয় জীবের লিঙ্গশরীর সমষ্টিতে বর্তমান ঈশ্বরকে হিরণ্যগর্ভ বলা যায় এবং প্রত্যেক লিঙ্গদেহে র্তাহাকে কাৰ্য্যরূপে তৈজস বলে।" জীবাত্মার চূড়ান্ত ব্যক্তাবস্থায় স্থলদেহের যোগ হয়—যথা জাগ্ৰত-কালেণ। সকল জীবের স্থলদেহে ঈশ্বর সমষ্টিভাবে “বিরাট” এবং প্রত্যেক স্থলশরীরে ব্যষ্টি অভিপ্রায়ে কাৰ্য্যরূপে “বিশ্ব” ইত্যাদি পারিভাষিক নাম দ্বারা পরিচিত হন। উক্ত সমষ্টিতে কর্তৃত্বরূপে বর্তমান, আর ব্যষ্টিতে কাৰ্য্যরূপে বর্তমান একই পরমেশ্বর । সমষ্টিতে কর্তৃত্ব স্বরূপে তিনিই ঈশ্বর, হিরণ্যগর্ভ ও বিরাট ; ব্যষ্টিতে কাৰ্য্যরূপে অর্থাৎ জীবস্বরূপে তিনিই প্রাজ্ঞ, তৈজস ও বিশ্ব। এতাবত অদ্বৈতবাদী আচাৰ্য্যগণের মতে সমষ্টিতে বর্তমান চৈতন্য কর্তা এবং ব্যষ্টিতে বর্তমান চৈতন্য কাৰ্য্য। অর্থাৎ ঈশ্বর কর্তা, জীব কাৰ্য্য। কিন্তু স্বরূপে উভয়ে একই শা কেবল উপাধিতেঃ প্রভেদ। “কাৰ্য্যোপাধিরয়ং জীব-কারণোপাধিরীশ্বরঃ” । পূজ্যপাদ শঙ্করাচার্য্যের শারীরক সূত্রের

  • অথবা স্বষ্টি-সময়ে স্বক্ষ-দেহ-রচনা-কালে । + অথবা স্বষ্টিকালে স্থল-দেহ-প্রকাশ-সময়ে ।
  1. ঈশোপনিষদে এবং অন্য কোন কোন স্থলে এই সকল উপাধির ভেদ আছে। সাধারণ এই শেষোক্তগুলি ‘কার্য্যব্ৰহ্ম’ বা ‘হিরণ্যগর্ভ বলিয়া উক্ত

হয় । n ৭ আমরা জীবাত্মা শব্দে মানবের যে স্বাধীন চৈতন্যকে বুঝি তাহাকে ঈশ্বরের সহিত এক বলা যে, শাস্ত্রের উদ্দেশ্য নহে তাহ পরে ক্রমে ক্রমে দেখাইব । বিশেষতঃ ১৬৩ ক্রম দেখ । উপাধি শঙ্গের ব্যাখ্যা পশ্চাৎ দ্রষ্টব্য।