পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** . - বেদান্ত প্রবেশ । ভাষ্যে ইত্যাকার ব্যষ্টি সমষ্টির বিবরণ নাই, কিন্তু ঈশ্বর, হিরণ্যগর্ভ ও প্রাজ্ঞ প্রভৃতির উল্লেখ অনেক স্থলে আছে। এইরূপ ব্যষ্টি সমষ্টির জ্ঞান ব্যতীত তাহা বুঝা যায় না । পঞ্চদশী ও বেদান্তসারে এ বিষয়ে বিশেষ বিবরণ আছে । উপনিষৎ, বোদাস্তসূত্র এবং শাঙ্কর ভাষা পাঠের সঙ্গে সঙ্গে ঐ বিবরণ অবগত হওয়া উচিত। - পঞ্চকোষ । ১০১ । তৈত্তিরীয় উপনিষদে শিষ্যকে ব্রহ্মজ্ঞান দিবার নিমিত্তে পুরুষ অর্থাৎ জীবকে পঞ্চস্থানে নির্দেশ করিয়াছেন। স্থলদেহ হইতে ক্রমে ক্রমে সর্বাপেক্ষ স্থসূক্ষ অবয়বে জীবাত্মার অধিকতর প্রবাহ জ্ঞাপন করিয়াছেন । প্রথমতঃ জীবাত্মাকে অন্ন-রস-ময় অর্থাৎ স্থল-শরীর-ময় বলিয়াছেন। দ্বিতীয়তঃ বলিয়াছেন যে, তাহ অপেক্ষাও অভ্যন্তর-প্রদেশ প্রাণ—সেইখানেই জীবাত্মার অধিক প্রবাহ—অতএব তিনি “প্রাণময়” । তৃতীয়তঃ প্রাণীপেক্ষাও যে সূক্ষস্থান মনঃ, জীবাত্মার বিশেষ স্থান সেই মনেতেই নির্দেশ করত র্তাহাকে “মনোময়’ কহিয়াছেন। চতুর্থতঃ কহিয়াছেন যে, তাহ অপেক্ষাও সূক্ষ ও আভ্যন্তরিক স্থান বুদ্ধি অথবা বিজ্ঞান। অতএব জীবাত্মার মুখ্য স্থান সেখানে। সুতরাং তিনি “বিজ্ঞানময়”। পঞ্চমতঃ কহিয়াছেন যে, বিজ্ঞানেরও অন্তরালে জীবাত্মার প্রকৃত স্থান । তথায় জীবাত্মা নিজ প্রীতি, মোদ, প্রমোদ এবং আনন্দে কর্তৃত্ব করেন । সেই অবস্থাই তাহার বীজভাব —অতএব তিনি “আনন্দময়”। উক্ত উপনিষৎ এই ৰিশুদ্ধ জীৰাত্মাকে মনোহর