পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চকোষ । 試。 সাজে সজ্জিত করিয়াছেন। যথা ‘প্রিয়” তাহার মস্তক, “মোদ” দক্ষিণ বাহু, “প্রমোদ” বামবাহু, “আনন্দ” মধ্যদেহ।" ব্ৰহ্ম তাছার প্রতিষ্ঠাজনক পুচ্ছ। “প্রতিষ্ঠাজনকপুচ্ছ” এ বাক্যের অর্থ আশ্রয়। এই সকল কথার তাৎপর্য্য এই যে, জীবাত্মার যে বিশুদ্ধভাব, ব্রহ্মকে সেই ভাবের সমিধানেই প্রতিষ্ঠাস্বরূপে দৃষ্ট হয়। নতুবা বিজ্ঞান, মন, প্রাণ, ও শরীরে এবং বিজ্ঞানের অতীত অভ্যন্তরস্থ জীবাত্মার প্রিয়-মোদাদি বৃত্তিতেও তাহাকে দৃষ্ট হয় না। ঐ শেষোক্ত ভাবের পুচ্ছদেশে অর্থাৎ পশ্চাৎভাগে তাহাকে জীবাত্মার অব্যবহিত প্রতিষ্ঠারূপে লাভ করা যায়। যিনি তত দূরে আপনার জ্ঞান-দৃষ্টি প্রেরণ করিতে না পারেন র্তাহার সম্মুখে জীবাত্মার প্রাগুক্ত “অন্নময়” অবধি “আনন্দময়’’ পৰ্য্যন্ত এই অবস্থ-পঞ্চ উত্তরোত্তর এক এক “আবরণ” স্বরূপ । এই নিমিত্তে ঐ সকল অবস্থা বা স্থানকে পঞ্চকোষ বলিয়াছেন । যিনি জ্ঞানযোগে এই পঞ্চকোষ অতিক্রম করিতে পারেন তিনিই আপনার প্রতিষ্ঠা-স্বরূপ পরমাত্মাকে দৃষ্টিপূর্বক তাহার সভাতে আপনার সভা বুঝিতে অথবা তাহার দর্শনে আত্মবিস্মৃত হইয়া কেবল তাহারই সত্ত। অনুভব করিতে পারেন । 睡 ১০২। মহর্ষি ব্যাসদেবের শারীরক সূত্রের প্রথমাধ্যায়ের প্রথম পাদের ১২ অবধি ১৯ সূত্র পৰ্য্যন্ত উপরি উক্ত পঞ্চ কোষের উল্লেখ আছে। শ্ৰীমান শঙ্করাচাৰ্য্য তাহার ভাষ্যে ইহাই মীমাংসা করিয়াছেন যে, অন্নময় কোষাবধি আনন্দময় কোষ পৰ্য্যন্ত যে আত্মা উক্ত হইয়াছে তাহ অমুখ্য অর্থাৎ ক্ষুদ্রাত্মা (জীবাত্মা) আর তাহার পুচ্ছরপে যিনি উক্ত হইয়াছেন। তিনিই মুখ্যাত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা । তিনি আনন্দ আর জীব