পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপাধি । סיכת স্থতরাং মনুষ্যের জানিত কোন লক্ষণ দ্বারা তাহার সেই অসীম ভাবকে নির্দেশ করিতে পারা যায় না। তাদৃশ অবস্থায় র্তাহাকে নিরুপাধি কহে। কিন্তু স্বষ্টির সঙ্গে সম্বন্ধ রাখিয়া আমরা পরমাত্মাকে জগৎকারণ প্রভৃতি নাম প্রদান করিয়া থাকি । প্রকৃতি যে র্তাহার স্বষ্টি-শক্তি, বিবেচনা করিতে গেলে তাঁহারই সহিত ঐ সম্বন্ধের প্রথম সূত্রপাত। স্বতরাং প্রকৃতিই যাবদীয় উপাধির মূল। আকাশ, বায়ু প্রভৃতি পঞ্চ ভূত উপাধিস্বরূপ, এই সমস্ত জড়জগৎ উপাধিস্বরূপ, জীবের স্থল, সূক্ষ কারণ-দেহ উপাধিস্বরূপ এবং পরমেশ্বর এই সৰ্ব্বত্রে ঔপাধেয় । এই সকল উপাধি র্তাহারই স্বস্ট । এ সকল কিছুই ছিল না। র্তাহারই শক্তির অভ্যন্তর হইতে প্রকাশ পাইয়াছে, সুতরাং তাহার সত্তাতেই উহাদের সত্তা। এইরূপ যুক্তিতে বৈদান্তিক আচাৰ্য্যদিগের মর্তে ব্রহ্মের সহিত সমস্ত জগৎ অভেদ—সমস্তই ব্ৰহ্মভুক্ত। কিছুই বিভক্ত হইয়া স্থিতি করে না । সকলই ব্রহ্ম-শক্তির আবির্ভাব । যখন এইরূপ শুভদৃষ্টি জীবেতে উদয় হয় তখন ঐ সকল উপাধিকে ভিন্ন বলিয়া বোধ হয় না। নতুবা ব্যবহারিক অবস্থায় বেদান্তের মত এই যে, ঐ সমস্ত স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র রূপেই স্থষ্টি হইয়াছে এবং উহারা যে ব্রহ্ম হইতে পৃথক্ এই বোধ সকলেরই থাকিবে । ১০৫। বেদান্ত শাস্ত্রে কহেন যে ঐ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র উপাধিতে ব্ৰহ্ম সঞ্জণরূপে দৃষ্ট হইয়া থাকেন। অবিদ্যাবচ্ছিন্ন স্বীয় স্বস্ট জীবের কারণ-শরীরে তিনি প্রাজ্ঞ নামে, সুক্ষদেহে তৈজস নামে, স্থলদেহে বিশ্বনামে জীবরূপে প্রকাশ পান এবং সর্বজীবের কারণ শরীর-সমষ্টিতে তিনি সৰ্ব্বেশ্বর নামে, সূক্ষ-দেহসমষ্টিতে হিরণ্যগৰ্ভ, ও স্থল-দেহ-সমষ্টিতে বৈশ্বানর নামে