পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Fo বেদান্ত প্রবেশ । ষতঃ । ব্রহ্ম যদি না থাকিতেন তবে জগৎ থাকিত না । সুতরাং চূড়ান্ত পারমার্থিক ভাবে ব্রহ্মই সত্য, জগৎ মিথ্যা । তবে যে, জগৎ দৃষ্ট হইতেছে উহা কেবল ব্রহ্ম-সত্তার আশ্রয়ে। যেমন সত্য রজুতে সৰ্পের জ্ঞান ভ্ৰমে আরোপিত হয়—সেইরূপ সত্য বস্তু যে পরমাত্মা তাহাতে, এই জগতের সত্তা উপলব্ধি হইতেছে । ফলতঃ যেমন "রজ্জ্ব কখনই সপ নহে* তদ্রপু ব্ৰহ্ম কখনই জগৎ নহেন। আর রজ্জ্বর অভাবে যেমন ঐরূপ সৰ্প উপলব্ধি হয় না, সেইরূপ, ব্ৰহ্ম না থাকিলে এ জগৎ দৃষ্টই হইত না । এই প্রকার বস্তুরূপ ব্ৰহ্ম-চৈতন্যেতে অবস্তুর আরোপ-রূপ অধ্যারোপ-ন্যায় সামান্যতঃ দর্শিত হইয়াছে। তাহার পর উক্ত গ্রন্থে জীব-চৈতন্যেতে বিশেষ অধ্যারোপ দশাইয়াছেন। যথা স্থল শরীর, ইন্দ্রিয়, প্রাণ, মন, বুদ্ধি, আনন্দময় কোষাবচ্ছিন্ন জীব, ইত্যাদি আত্মা নহে। উহাদের ধৰ্ম্ম জীব-চৈতন্যেতে অধ্যারোপিত হইয়া থাকে মাত্র। অতএব ব্ৰহ্মই আত্মা । - ১০৯ ৷ “অপবাদ-ন্যায়’ অধ্যারোপ-ন্যায়ের বিপরীত ক্রম। “অধ্যারোপ-ন্যায়” দ্বারা সত্যস্বরূপ ব্ৰহ্ম হইতে ক্রম পূর্বক জগতের সত্যতা প্রকাশ হওয়া ব্যাখ্যাত হয়, আর “অপবাদ-ন্যায়” দ্বারা সমুদয় স্বষ্টিকে ক্রমে ক্রমে ব্রহ্ম-মূলে লয় করিয়া কেবল ব্রহ্মকে মাত্র দৃষ্ট করার উপদেশ প্রদত্ত হয় । অর্থাৎ যদি স্বাক্টর উৎপত্তির ক্রম মনে কর, তবে দেখিবে কেবল ব্রহ্মই আদিতে ছিলেন আর কিছু ছিল না ; আর যদি প্রলয় চিন্তা কর, তাহাতেও দেখিবে যে, সকল মিথ্যা, কেবল ব্ৰহ্মই সত্য। কেবল কিছু দিন তাহার আশ্রয়ে এই সব সত্যের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছে । -