পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

च५]iश्न । :רא ১১০ ৷ ব্ৰহ্মই বস্তু। সমুদয় জগৎ তাহার তুলনায় অবস্তু। এইরূপ তাৎপর্য্যে জগৎ মিথ্যা । সমস্ত জগতে যিনি জগতের সহিত অপৃথক রূপে বৈশ্বানর ও বিশ্ব, হিরণ্যগর্ভ ও তৈজস, ঈশ্বর ও প্রাজ্ঞ, এই সকল নামে উপহিত তিনিই “সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্ৰহ্ম’ এই মহাবাক্যের বাচ্য এবং বিবিত্ত অর্থাৎ অসম্পজ্ঞ বা পৃথক রূপে ঐ মহাবাক্যের লক্ষ্য হয়েন। যেমন দগ্ধ-লোঁহ-পিণ্ডের সহিত অভিন্ন অগ্নি, “আয়োদহতি’ এই বাক্যের বাচ্য এবং লৌহ-পিণ্ড হইতে ভিন্নরূপে তাহার লক্ষ্য হয় ।" শ্ৰীমান সদানন্দ যোগীন্দ্রের এই বিবরণেৱ তাৎপৰ্য্য এই যে, লৌহ যখন অগ্নি-সম্পৃক্ত হয় তখন অগ্নি আর লৌহ যেন এক হইয়া যায়। সেই লৌহ-সংযোগে কোন . দ্রেব্য যদি দগ্ধ হয়, তবে লোকে বলে “আয়োদহতি’ অর্থাৎ লোহায় দগ্ধ হইতেছে। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে ঐরূপ বাক্যের বাচ্যই অভিন্ন অগ্নি। অর্থাৎ লোহাতে যে অগ্নি সম্পত্তি হইয়া আছে তাহা । ফলে সে অগ্নি লোহা হইয়া যায় নাই। স্বতরাং “সে অগ্নি পৃথকৃ” ঐ বাক্যের এইরূপ লক্ষ্য হয়। তন্দ্রপ’পরমেশ্বর সমস্ত জগতে ওতপ্রোত । জগৎ আর তিনি ষেন এক ৷ সেই জন্য বলা যায় যে, “সবই ব্রহ্ম”। কিন্তু এরূপ কথার লক্ষ্য এই যে, ব্রহ্ম জগৎ হইতে স্বতন্ত্র, কিন্তু জগৎ নহেন । এইরূপ তাৎপর্য্যে জগৎ মিথ্যা ব্ৰহ্মই সত্য, এই রূপ তাৎপর্য্যে ব্ৰহ্মও সত্য জগৎও সত্য এবং এইরূপ তাৎপর্য্যেই জগৎ কেবল উপাধি মাত্র, কিন্তু ব্ৰহ্মই লৌহ-সম্পৃক্ত অগ্নির ন্যায়,লক্ষণা-প্রয়োগে,জগৎ-শব্দের বাচ্য। এই প্রকারের তাৎপৰ্য্য সমূহের জ্ঞাপনার্থে অধ্যাস, আরোপ,অধ্যারোপ-স্যায়, অপবাদ-স্যায় প্রভৃতি পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার হয় । ।