পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెty বেদান্ত প্রবেশ । আবরণ ও বিক্ষেপ শক্তি । ১১১। বেদান্তসারে আছে যে, পরমেশ্বরের স্বষ্টি-শক্তি যে অজ্ঞান অর্থাৎ প্রকৃতি তাহা সত্তাদি-গুণযুক্ত এবং ভাবরূপা । তাহারই গুণবিক্ষেপে এই জগৎ হইয়াছে। অজ্ঞানের সেই শক্তির নাম বিক্ষেপ । আর জগতে বিক্ষিপ্ত ঐ অজ্ঞান আমাদিগকে মোহিত করিয়া রাখায়, আমরা তাহার নিয়োজয়িত পরমেশ্বরের প্রকৃত জ্ঞান পাই না। উহা যেন পূরমেশ্বর ও আমাদের মধ্য-পথে আবরণ-স্বরূপ দণ্ডায়মান আছে । এই কারণে উহার আবরণ-শক্তি স্বীকৃত হইয়াছে। প্রকৃতির এই আবরণ-শক্তির দ্বারা আমাদের নিকট পরমাত্মা আচ্ছন্ন হইয়া আছেন এবং উহার বিক্ষেপ-শক্তির মধ্যেও আমরা তাহার প্রকৃত জ্ঞান পাই না। পঞ্চদশী কহেন “যেমন শুক্তিকাতে রজতের অধ্যাস হয়, তন্দ্রপ অবিদ্যার আবরণশক্তির দ্বারা আবৃত কুটস্থ চৈতন্তেতে, (অবিদ্যার) যে শক্তি দ্বারা স্থল-শরীর ও লিঙ্গ-শরীরের সহিত জীব-চৈতন্যের অধ্যাস সম্পাদিত হয়, তাহাকে বিক্ষেপ-শক্তি বলা যায় এবং ঐ অধ্যাসের নাম বিক্ষেপাধ্যাস” গ্রু জীব-চৈতন্য ও কুটস্থচৈতন্তের মধ্যে পরস্পর বিভিন্নতাও আছে সাদৃশ্যও আছে। এই জন্য কুটস্থ চৈতন্তে জীবের আরোপ হয়।ণ অর্থাৎ জীব কেবল অহংকার-বাচক। পরমাত্মা কর্তৃক স্বফ্ট না হইলে থাকিত না । সুতরাং তাহ সে ভাবে অসত্য ও অবস্তু। পরমাত্মাই বস্তু ও সত্য । তিনিই যথার্থ আত্মা । তাহার তুলনায় জীব অনাত্মা। বিক্ষেপ দ্বারা ঐ অনাত্মা জীব

  • ৬৩৩ । , 骨や|マルl o -