পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদাস্ত প্রবেশ । مهد তদ্রুপ বিচিত্র এই দ্বৈত-জগৎ সমুদায় (পরমেশ্বরের স্বষ্টিশক্তি-স্বরূপিণী) মায়া দ্বারা (র্তাহার) স্বীয় পরমাত্ম-চৈতন্যে অধ্যারোপিত হইয়াছে। তাহাকে (মায়াকে) অনাদর পূর্বক (সেই) চৈতন্যকে নির্বিশেষ করা কর্তব্য ।”ঃ ঈশ্বরচৈতন্য। ১৯২ জগৎ-রচনার কর্তৃত্ব উপলক্ষে পরমেশ্বরের “ঈশ্বরচৈতন্য” নাম হয়। মায়। ঐ কর্তৃত্বের সহযোগী। ফলে মায়া তাহারই স্বষ্ট্রি-শক্তি ; স্থতরাং তাহার স্বতন্ত্র কর্তৃত্ব নাই । বিবিধ কর্তৃত্ব উপলক্ষে এই ঈশ্বর-চৈতন্যের বিবিধ সংজ্ঞা হয়। তন্মধ্যে বেদান্তদর্শন কেবল জীবের নিয়ন্তত্ব উপলক্ষ করিয়া তাহার তিনটি নাম ব্যবস্থার করিয়া থাকেন। জীবের ত্রিবিধ দেহু। কারণ, সূক্ষ, ও স্থল। সমুদয় জীবের ঐ তিন প্রকার দেহের রচনা, অন্তর্যামিত্ব ও বিধাতৃত্ব সম্বন্ধে তাহার ঐ সকল সংজ্ঞা । যথা কারণ-দেহে তিনি ঈশ্বর, সৰ্ব্বেশ্বর, অন্তর্যামী, জগৎকারণ, অব্যক্ত ইত্যাদি । সুক্ষদেহে তিনি হিরণ্যগর্ভ। স্থলদেহে তিনি বিরাট বা বৈশ্বানর। পরমেশ্বর বাক্য মনের অগোচর ; তথাপি স্বষ্টি-কাৰ্য্যের উপলক্ষে পূৰ্ব্বতন ঋষির র্তাহার এইরূপ নানা সংজ্ঞা ও ক্ষমতা স্বীকার করিয়াছেন ; কিন্তু বেদান্ত যথার্থ জ্ঞান-প্রদান-উদ্দেশে ইহাই জ্ঞাপন করিতেছেন যে, পরমেশ্বরের ঐ সমস্ত সংজ্ঞাই মায়াতে কল্পিত হইয়াছে। অর্থাৎ স্বষ্টিক্রিয়ার সংশ্রবে কল্পনা করা গিয়াছেণ ।

  • পঃ দঃ ৬,২৮৯ আমার স্বষ্টিগ্রন্থে ‘অব্যক্ত প্রং দেখহ ।