পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীব-চৈতন্য। ১১৩ ৷ বেদান্ত যে ভাবের ভাবুক হইয়া পরমেশ্বরকে কাৰ্য্যরূপ কহিয়াছেন তাহ পূর্বে বলিয়াছি। অবিদ্যাই ঐ কার্য্যের উপাদান স্বরূপ। অবিদ্যা, মায়ার ন্যায়, কৰ্ত্তারূপী ঈশ্বরের বশীভূত হইলেও কার্যরূপ ঈশ্বরের বশীভূত নছে। বরং সেই কাৰ্য্যরূপ ঈশ্বর অবিদ্যারই বশতাপন্ন। ইহার কারণ এই যে, তিনি যখন কাৰ্য্য. হইলেন - তখন র তাহীৱ ক্ষমতা কি ? সামান্যতঃ যদিও পরমেশ্বর এইরূপে সৰ্ব্বজগৎ-স্বরূপ, এবং তদুপলক্ষে সমস্ত নাম রূপ তাহাতেই প্রয়োগ হইতে পারে, কিন্তু বেদান্তশাস্ত্র লক্ষণ দ্বারা তাহার জীবরূপ কাৰ্য্যত্ব উপলক্ষ করিয়া তাহার তিনটি নাম ব্যবহার করিয়া থাকেন। যথা প্রত্যেক জীবের কারণদেহে তিনি প্রাজ্ঞ, সূক্ষ্যদেহে তৈজস এবং স্থলদেহে বিশ্ব। এই চৈতন্যত্রয়ই জীব-শব্দের বাচ্য । ইনিই ভোক্তা, কর্তা এবং প্রাণের ধারয়িত। কিন্তু ঈশ্বর সর্বজ্ঞ, ইনি অল্পজ্ঞ । ইনিই লোকলোকান্তর গমন করেন—পাপপুণ্যের ফলভোগী। য়দিও এই ত্ৰিবিধ চৈতন্য সামান্যতঃ জীব-শব্দের বাচ্য কিন্তু কুটস্থ-ব্রহ্ম-চৈতন্যের আলোক ব্যতীত ইনি এক মুহূৰ্ত্তও স্বয়ং প্রকাশিত হইতে বা অন্য কোন পদার্থকে প্রকাশ করিতে পারেন না । ইনি তাহার প্রকাশে প্রকাশিত হইয়া, স্বকীয় মানসিক অহংকারকে ভ্ৰমে আত্মা বলিয়া বোধ করেন । সেই ভ্রম ভাঙ্গিলে সেই কুটস্থ পরমাত্মাতেই আত্মদৃষ্টি করিয়া থাকেন। ঐ ভ্রমের নাম অধ্যাস তাহ পূর্বে উক্ত হইয়াছে।

  • এস্থানে ঈশ্বরের অন্তর্বামিত্বে জীব-ধৰ্ম্মের অধ্যাস হইয়াছে। ব্ল্যৰ হারিক জীব উহ্য আছে, তাহা ক্রমে জানা যাইবে।