পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত প্রবেশ । عواملا অাছে। কিন্তু তাহ৷ জ্যোতিঃ গ্রহণের এক অধিকার মাত্র। বাহজ্যোতির অভাবে তাহ অন্ধকার। তদ্রুপ জীবের স্বীয় জ্যোতিও পদার্থজ্ঞান লাভার্থ এক অন্ধ অধিকার মাত্র। কুটস্থ চৈতন্য সেই অধিকারটি পূর্ণ করিয়া জীবের অন্তর্জ্যোতিঃ, “চিদাভাস,” বা “আভাস-চৈতন্য” রূপে পরিণত হয়।—যেমন নেত্রই বাহজ্যোতিঃ কর্তৃক প্রকাশিত হইয়া অপর অবয়ব দৃষ্টি করে, কিন্তু ঘট তন্দ্রপে প্রকাশিত হইয়াও তাহ পারে না, সেইরূপ যখন জীবেতেই কুটস্থ চৈতন্য জীবের অন্তর্জ্যোতিঃ বা আভাসচৈতন্যরূপে প্রতিফলিত হয়েন–কিন্তু জড়পদার্থেতদ্রপ হয়েন না, তখন, জীবের যে একটি স্বতন্ত্র জীবন্ত অধিকার আছে তাহার আর সন্দেহ নাই । অতএব আভাস-চৈতন্য জীব নহেন কেবল কুটস্থ ব্ৰহ্ম-চৈতন্যের প্রতিবিম্ব মাত্র। কিন্তু সামানাধিকরণ্য বশতঃ লক্ষণ দ্বারা জীবের সহিত অভেদ-রূপে কথিত হইয়। থাকেন।ঞ্চ এই ব্যাখ্যা দ্বারা আমাদের হৃদয়ের সেই সরস ভাবটি সিদ্ধ হইতেছে—যাহার ভাবুক হইয়া আমরা পরমেশ্বরকে বলিয়া থাকি “তুমি আমাদের অন্তরের আলোক” ।

  • এই রূপ অভেদ লক্ষণায় যদি এমত আশঙ্কা হয় যে, বাস্তলিক ব্ৰহ্মচৈতন্থই বুঝি জীবরূপে পরিণত হইয়া থাকেন এই হেতু বেদান্তশাস্ত্রে নান স্থানে কথিত হইয়াছে যে, পরব্রহ্ম সৰ্ব্ব ঘটে প্রবেশ করিয়াও কাহারও দোষ গুণে লিপ্ত নহেন। কঠোপনিষদে, ৫ ব । ১১ শ্লো, আছে “ সুৰ্য্যোযথা সৰ্ব্বলোকস্য চক্ষুর্নলিপ্যতে চাক্ষুষৈৰ্বাহদোষৈ: । একস্তথা সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা ন লিপ্যতে লোকছুঃখেন বাহঃ ।” সৰ্ব্বলোকের চক্ষুস্বরূপ স্বৰ্য্য যেমন চক্ষুষ বাহ দোষে লিপ্ত হন না, সেইরূপ একমাত্র সৰ্ব্বভূ আপন হইতে ভিন্ন লোক-দুঃখে লিপ্ত হন না । উদ্দেশ্য এই যে, “ ে দেহাত্মজ্ঞানেতে যে প্রকার সন্দেহ বা বিপৰ্য্যয় রহিত হয় তদ্রুপ । কুটস্থাত্ম-জ্ঞানেতেও অসন্ধি বা অৰিপৰ্য্যস্ত হইয়। বিবেচনা করিবেক।” পঃ দঃ ৭ । ১৯ ।