পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাবাক্য । ১২৫ । উপনিষদে জীব-ব্রহ্ম বা জগৎ-ব্রহ্ম প্রতিপাদক কতিপয় সংক্ষেপ উক্তি আছে। যথা “প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম,” “অহংব্ৰহ্মাস্মি,” “তত্ত্বমসি,” “অয়মাত্মা ব্রহ্ম,” “একমেবাদ্বিতীয়ম,” “সৰ্ব্বংখদ্বিদংগ্ৰহ্ম” ইত্যাদি। অদ্বৈতবাদী আচাৰ্য্যেরা স্ব স্ব বৈদান্তিক গ্রন্থে তাহারই ব্যাখ্যা করিয়া ব্রহ্মাত্মজ্ঞান এবং জগদাত্মজ্ঞান প্রণয়ন করিয়াছেন। ঐ সমুদ্রয় উক্তি এইক্ষণে সামান্যতঃ মহাবাক্য-নামে গণ্য হইয়া থাকে। 轉 ১২৬ ৷ পঞ্চদশীর মহাবাক্য-বিবেকে প্রথমোক্ত চারিটি মহাবাক্যের তাৎপৰ্য্য আছে । - ১২৭ ৷ “প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম” এই উক্তিটি ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণান্তর্গত ঐতরেয় উপনিষদের *শেষাংশে আছে । তথা উহার প্রয়োগ এইরূপ । যথা—প্রজ্ঞান-স্বরূপ পরমেশ্বর দ্বারা সকল ভূত সত্তা লাভ করিয়াছে, প্রজ্ঞানই সকলের মূল। প্রজ্ঞানই ব্ৰহ্ম ৷ বামদেব প্রজ্ঞানকে ব্রহ্মরূপে জানিয়া স্বর্গলোকে অমৃতত্ব লাভ করিয়াছিলেন। প্রজ্ঞান-স্বরূপ ব্ৰহ্মই, জীবত্মার প্রজ্ঞা-নেত্র ৫ । সেই পরমাত্মার জ্ঞানরূপ সত্তাতে জীবাত্মার জ্ঞানরূপ সত্ত। অতএব পরমাত্মাকে জীবাত্মার সহিত অভেদ জ্ঞান করাই অমৃতত্ব লাভের হেতু। এ সম্বন্ধে পঞ্চদশী কহেন যে,“যে চৈতন্য-জ্যোতিঃ দ্বারা দৃশ্য পদার্থ সকল দর্শন হয় এবং র্যাহার দ্বারা শব্দের শ্রবণ, গন্ধের ভ্রাণ, বাক্যকথন এবং স্থস্বাদ ও বিস্বাদ সকল অবগত হওয়া যায় সেই

  • প্রজ্ঞানেত্ৰং বস্য তদিদং “প্রজ্ঞানেত্রর ইতি শঙ্কর ক্রত উপয়া