পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত প্রবেশ । • לל বুদ্ধিস্থ জীব-চৈতন্যঃ “প্রজ্ঞান’ শব্দের বাচ্য হয়েন ।” সকলেতেই পরব্রহ্ম অবস্থান করেন, স্থতরাং আমাতেও তিনি প্রজ্ঞানরূপে অবস্থিতি করিতেছেন, অতএব একাধার-স্থিত প্রজ্ঞান-চৈতন্য ও ব্রহ্ম-চৈতন্য একই। ১২৭(ক) । “অহং ব্রহ্মান্মি।” এই মহাবাক্যটি যজুৰ্ব্বেদীয় বৃহদারণ্যকোপনিষদে আছে। পঞ্চদশীতে ব্যাখ্যা করিয়াছেন যে, “পরমাত্মা » ** (জীবের) অন্তকরণের সাক্ষীরূপে প্রকাশমান হইয়া অবস্থিতি করতঃ অহংশব্দের বাচ্য হয়েন,” অহং শব্দের বাচ্য (সাক্ষী) চৈতন্য ও ব্রহ্ম-চৈতন্য একই।

  • ১২৮ । “ত ” এই মহাবাক্য সামবেদীয় ছান্দোগ্য উপনিষদে ষষ্ঠ প্রপাঠকের অষ্টম খণ্ড হইতে, পঞ্চদশ খণ্ড পৰ্য্যন্ত বহু বার উদালক কর্তৃক তৎপুত্ৰ শ্বেতকেতুর প্রতি উপদেশ ছলে উক্ত হইয়াছে। উদালক কহিয়াছেন হে শ্বেতকেতো ! ব্রহ্মই বিশ্বের জীবন, এবং সৰ্ব্বাত্মা । হে শ্বেতকেতো ! (তিনিই তোমার আত্মা) তুমি তিনিই। পূর্বে কেবল একমাত্র পরব্রহ্ম ছিলেন, এইক্ষণেও আছেন, তিনিই “তৎ” শব্দের বাচ্য। প্রাণীসকলের অন্তঃকরণস্থিত যে চৈতন্য তিনি “ত্বং” পদের বাচ্য। ঐ উভয় চৈতন্য একই। r

১২৯ ৷ মহাবাক্য নামে যতগুলি পদ প্রচলিত আছে তন্মধ্যে “তত্ত্বমসি” বাক্যই বিখ্যাত। সুতরাং তাহার তাৎপৰ্য্য পরিষ্কাররূপে দেওয়া উচিত। তুরীয় ব্রহ্ম-চৈতন্যকে “তৎ” শব্দে কহ যায়। “তৎ” শব্দ ব্যাকরণের তৃতীয় পুরুষ এবং

  • এস্থানে “বুদ্ধিস্থ জীব-চৈতন্য ” শব্দে প্রজ্ঞান স্বরূপ ব্ৰহ্মই, যিনি জীবের বুদ্ধিতে চৈতন্য সম্পাদন করেন । , - -