পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भश्ांदांकT । גלכי সৰ্ব্বনাম । উছার অর্থ “সেই” কি না যাহা অপ্রত্যক্ষ । অর্থাৎ সেই পরমাত্মা। কোন পরমাত্মা ? না যিনি জগতের জন্ম, স্থিতি, ভঙ্গের কারণ, অর্থাৎ ইতিপূর্বে র্যাহার বিবরণ বলা হইয়াছে। আর ঐ পরমাত্মা যে বিশেষ ভাবে তোমার অন্তরাত্মা হইয়াছেন তাহাকেই সংস্কৃতে “ত্বং” শব্দে কহ যায় । “ত্বং” শব্দের অর্থ তুমি । ইহা দ্বিতীয় পুরুষ ও সর্বনাম। ঐ পূর্বোক্ত “তৎ” ও শেষোক্ত “ত্বং” এই দুই পদ “অসি’ ক্রিয়ার যোগে কৰ্ম্মধারয় সমাসে “তত্ত্বমলি” বাক্য হয় । উহার অর্থ এই যে, “সেই পরমাত্মা তুমি হg” অর্থাৎ তোমার তুমিত্ব যে ব্রহ্ম, তিনিই স্বষ্টি, স্থিতি, ভঙ্গের কারণ। এই বাক্যের দ্বারা ব্ৰহ্মকেই বিশেষ করিয়া দর্শন করা হইয়াছে, আর অল্পজ্ঞ যে নামমাত্র জীবাত্মা তাহাকে কথায় ত্যাগ করত কাৰ্য্যতঃ ঐ যৌগেই বদ্ধ করা হইয়াছে ; কারণ তাহাই যোগানন্দের ভোক্ত । গ্রু ভগবান যিযুগৃষ্টও কহিয়াছিলেন “আমি এবং আমার পিতা এক”। নানা সম্প্রদায়ের খৃষ্টানের ঐ বাক্যের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ করেন। দেবত্রয়বাদী খৃষ্টানগণ বলেন যে, প্রভু যিশুখৃষ্ট ঈশ্বরেরই অবতার এই জন্য ঐ রূপ বলিবার তাহার অধিকার ছিল । একেশ্বরবাদী খৃষ্টানগণ কহেন যে “উহার অর্থ—আমি এবং আমার পিতা এক অভিপ্রায়বিশিষ্ট—অর্থাৎ তাহারও ষে অভিপ্রায় আমারও সেই ।” কিন্তু উহার অর্থ অদ্বৈত-পক্ষেই সংলগ্ন হয় । কেন না তাহার এই বাক্য শুনিয়া য়িহুদীয়েরা তাহাকে মারিতে উদ্যত হওয়ায় তিনি উত্তর করিয়াছিলেন “তোমরাও

  • ইহার সমাহার পরে পাওয়া যাইবে ।