পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33* বেদান্ত প্রবেশ । ঈশ্বরগণ”। ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া বল উহার অর্থ “তত্ত্বমসি” হইল কি না ? ১৩০ । উপরি উক্ত “তৎ” এবং “ত্বং’ উভয় পদের শোধন ও সারগ্রহণ ব্যতীত উভয়ের ঐক্য হয় না। শোধন দ্বারা “তৎ* পদের যে সার ভাগ পাওয়া যায় এবং “ত্বং” পদের যে সার ভাগ পাওয়া যায় তাহাই পরস্পর এক হইবে, ইহাই শাস্ত্রের অভিপ্রায় । ১৩১। ইতিপূর্বে অধ্যাস-প্রকরণে অধ্যারোপ ও অপবাদু-ন্যায় ব্যাখ্যা সময়ে বলিয়াছি যে, পরমেশ্বর সমস্ত জগতের সহিত অপৃথকৃরূপেও বর্তমান আবার সমস্ত জগৎ হইতে পৃথকৃরূপেও বর্তমান। তিনি জগৎ হইতে একেবারে পৃথক হইলেও চলে না এবং নিজে জগৎ হইয়া গেলেও চলে না। জগতের সহিত র্তাহার যে সেই অনিৰ্ব্বচনীয় সম্বন্ধ তাহা বুঝাইবার জন্য আচার্য্যের দগ্ধ-লৌহপিণ্ডকে দৃষ্টান্ত ধরেন । যখন দগ্ধ-লৌহ-পিণ্ড অগ্নিমূৰ্ত্তি ধারণ করে তখন অগ্নি আর লৌহ যেন এক হইয়া যায়। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে লৌহও স্বতন্ত্র অগ্নিও স্বতন্ত্র । সেই ভাবে ব্রহ্মকে, ঈশ্বর, হিরণ্যগৰ্ভ, বৈশ্বানর নামে জগৎ-কারণ-রূপে এবং প্রাজ্ঞ, তৈজস, ও বিশ্ব নামে, জগৎ-কাৰ্য্যরূপে স্বীকার করিয়াছেন। উহা সমুদয় একই ব্ৰহ্ম-চৈতন্য ঐ ব্ৰহ্ম-চৈতন্যের সহিত জগতের ভেদ ও অভেদ দুই আছে। কিন্তু সে ভেদাভেদ দগ্ধ-লোঁহপিশুবৎ । ঐ মিশ্রিত ভাব হইতে র্তাহাকে অগ্নিবৎ স্বতন্ত্ররূপে লক্ষ্য করাই তাহার শোধন । এই সংশোধিত তুরীয়ঞ্চ

  • সংশোধিত হইলে তুরীয় অর্থাৎ চতুর্থ হন, নচেৎ পাজরের স্বটির বিকারে লিপ্ত থাকেন। o r -