পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাবাক । - כי מכ ব্ৰহ্ম-চৈতন্যই “তৎ’ শব্দে উক্ত হইয়াছেন। ব্ৰহ্ম-চৈতন্যের এই ভাবটি অপ্রত্যক্ষ । ১৩২। অতঃপর জীব-চৈতন্যেরও শোধন আছে । যথা ; মনুষ্য স্ত্রী, পুত্র, পরিবারের সহিত এবং শরীর, ইন্দ্ৰিয়, মন, প্রাণ, ও কর্তাস্বরূপ জীবাত্মার সহিত মিশ্রিত থাকিয়৷ ভ্ৰমে সেই সকলকে, বা তাহাদের অন্যতরকে আত্মা বলিয়া মনে করে, কিন্তু তাহা ভ্রম। যেহেতু “প্রত্যগাত্মা স্থল নহে, ইন্দ্রিয় নহে, প্রাণ নহে, কর্তা (জীবাত্মা নহে। চৈতন্যমাত্র সত্যস্বরূপ ”ক্ষ পরমাত্মার অধিষ্ঠান-বিরুহে দেহ, ইন্দ্রিয়, প্রাণ ও জীব সমুদয়ই জড় । ঐ সমুদয় জড়ের ভাসক যে সত্যস্বরূপ চৈতন্য তিনিই আত্মাণ— (তিনিই সকলের আত্মা—যেমন অন্যান্য জড়পদার্থের আত্মা, সেইরূপ র্তাহার বিরহে কৰ্ত্তীস্বরূপ জীবাত্মা যে জড়মাত্র, তাহারও তিনি আত্মা) । তিনিই প্রকৃত জীব-চৈতন্য । কিন্তু তিনি প্রাকৃতিক জীবাত্ম নহেন । তাহাতে দগ্ধলৌহস্থ আনলের ন্যায় উপহিত থাকেন এই মাত্র । সুতরাং র্তাহার প্রাজ্ঞ, তৈজস, বিশ্ব ইত্যাদি নামে স্বয়ং জীবরূপকার্ষ্য হওয়! জীবের সহিত ঐরুপ অভিন্ন বর্তমানত মাত্র । নতুবা প্রকৃত প্রস্তাবে তিনি স্বতন্ত্রই। কিন্তু র্তাহারই সভাতে, তাদৃশ জড়স্বরূপ জীব-চৈতন্যের দীপ্তি হয়। স্থতরাং তিনিই জীবের প্রত্যক্ষ-চৈতন্য অথবা মুখ্য-জীবাত্মা । তাহাকে এইরূপে শোধিত জীব-চৈতন্য-স্বরূপে প্রত্যক্ষ দৃষ্টি করাই অভিপ্রায় । “ত্বং” শব্দ তাহাকেই প্রতিপাদন করে।

  • বেঃ সাঃ ৩৩ পৃ। + बैं ७8 ।