পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদাস্ত প্রবেশ । 8גל ১৩৩ । প্রাগুক্ত সংশোধিত অপ্রত্যক্ষ-চৈতন্য-স্বরূপ “তৎ” শব্দ এবং শেষোক্ত সংশোধিত প্রত্যক্ষ-চৈতন্য-স্বরূপ “ত্বং” শব্দ উভয়ই একমাত্র তুরীয়-ব্রহ্ম-চৈতন্যকে প্রতিপাদন করে —এখন ঐ উভয় চৈতন্যের মধ্যে অপ্রত্যক্ষত্ব ও প্রত্যক্ষতৃ মাত্র প্রভেদ থাকিতেছে। ফলে বেদান্তসার বলেন যে, ঐ উভয়ের মধ্যে এমন তিনটি সম্বন্ধ আছে যাহা বুঝিলে উভয়কে এক অখণ্ড ব্রহ্ম-চৈতন্য বলিয়া বোধ হয়। ১৩৪। সেই সম্বন্ধত্রয় যথা ; প্রথমতঃ সামানুাধিকরণ্যক্ষ সম্বন্ধ অর্থাৎ “তৎ” ও “ভূং” এ উভয় শব্দের এক মাত্র ব্রেহ্মেতেই তাৎপৰ্য্য । ইহাতে এই হইল যে, যিনি অপ্রত্যক্ষ ছিলেন তিনি আত্মারাপে প্রত্যক্ষ হইলেন। দ্বিতীয়তঃ , বিশেষণ-বিশেষ্যভাব সম্বন্ধ। যেমন “সেই দেবদত্ত এই” এস্থলে পূৰ্ব্বদৃষ্ট দেবদত্ত রূপ যে এক তাৎপৰ্য্য তাহাই বর্তমান-দৃষ্ট দেবদত্তের বিশেষণ স্বরূপ। তন্দ্রপ “তৃং” পদ-বাচ্য প্রত্যক্ষ ব্ৰহ্ম-চৈতন্যই “তৎ” পদ-বাচক অপ্রত্যক্ষ ব্রহ্ম-চৈতন্যের সহিত এক হইল । তৃতীয়তঃ লক্ষ্যলক্ষণভাব সম্বন্ধ । “তৎ” এবং “ত্বং” উভয় পদই তাহার লক্ষণ । জগৎ-কারণতাতে র্তাহার যেমন আবির্ভাব, জগৎ-কার্য্যেতেও সেইরূপ । কারণ-রূপে তিনি। ঈশ্বর অর্থাৎ “তৎ” । কাৰ্যরূপে তিনি তোমার তুমিত্ব অর্থাৎ “ত্বং । এই “তৎ” এবং “ত্বং পরমেশ্বরের কারণাধিষ্ঠানত এবং কাৰ্য্যাধিষ্ঠনত রূপ লক্ষণ মাত্র। এবং উভয় লক্ষণদ্বারা তিনিই লক্ষ্য। যদি লক্ষণ রূপ ভাগদ্বয় ত্যাগ করা যায়, তবে ' * এক অধিকরণে স্থিতি বা এক স্থানে স্থিতি ।