পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাবাক্য । 4 מכ বিরুদ্ধ জ্ঞানের অভাবে একমাত্র ব্ৰহ্ম-চৈতন্যই থাকেন। ইহাকে ভাগ-লক্ষণ বা ভাগ-ত্যাগ-লক্ষণ কহে । ১৩৫ ৷ বেদান্তসারের ব্যাখ্যা স্বরূপে “তত্ত্বমসি” মহাব্যক্যের যে তাৎপৰ্য্য উপরে প্রদত্ত হইল তাহাই প্রকৃত অদ্বৈতবাদ । দ্বৈত-স্বরূপ জীবাত্মার স্বতন্ত্র সত্তা উহাতে ধ্বংস হয় নাই, প্রত্যুত আচার্য্যেরা সেই দ্বৈত-জীবাত্মাকে ব্রহ্মরূপ জীবনের দ্বারা জীবিত রাখিয়াছেন এবং ব্রহ্মকেই তাহার আত্মা বা জীবন বলিয়া দর্শাইয়াছেন। শ্ৰীমান শঙ্করাচাৰ্য স্বীয় শারীরক ভাষ্যে লিখিয়াছেন যে, “হে শ্বেতকেতো ! তুমিই তিনি, এই শ্রীতিতে প্রকৃত সৎকে আত্মশব্দে উপদেশ করিয়া চেতন-শ্বেতকেতুর আত্মারূপে তাহাকেই ( শাস্ত্রে ) গ্রহণ করিয়াছেন”ঃ | - ১৩৬। ফলতঃ জীবাত্মা ও পরমক্সার পরস্পর সম্বন্ধ এত নিকট যে উভয়ের মধ্যে কিঞ্চিম্মাত্রও ব্যবধান নাই। পরমাত্মাই জীবাত্মার আশ্রয় ও প্রকাশক । তাহা হইতেই আমাদের আত্ম-বুদ্ধি প্রক্লাশ পাইতেছে। “তংহদেবমাত্মবুদ্ধিপ্রকাশং” ইতিশ্রুতি। সেই পরমাত্মা আমাদের আত্মবুদ্ধি প্রকাশ করিতেছেন। “স পরে অক্ষরে আত্মনি সংপ্রতিষ্ঠতে” জীবাত্মা স্বয়ং তিষ্ঠিতে পারেন, সে পরমাক্ষর পরমাত্মাতে প্রতিষ্ঠিত আছে । কিন্তু “এষহি দ্রষ্টা, ষ্প্রষ্ঠা, শ্রোতা, ভ্রাতা, রসয়িত, মন্তা, বোদ্ধা, কর্তা, বিজ্ঞানাত্মা পুরুষঃ” ঐ প্রতিষ্ঠাতেই জীবাত্মার কর্তৃত্ব রহিয়াছে। কিন্তু স্বকীয় কর্তৃত্ব জীবাত্মার তিষ্ঠিবার আশ্রয় নহে। সে কর্তৃত্ব দ্বারা জীবাত্মা প্রকাশিতও হয় নাই ।

  • শাঃ ভাঃ ৬ স্বঃ । ,