পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত প্রবেশ । לגל সুতরাং ব্ৰহ্মই তাহার আশ্রয় ও প্রকাশক। উপনিষদের এই ভাব উক্ত “তত্ত্বমসি” বাক্যের ব্যাখ্যাতে বেদান্তসার ও পঞ্চদশী প্রভৃতি সকল বৈদান্তিক শাস্ত্রেই রক্ষিত হইয়াছে। এই . মনোহর ভাবের মধ্যে প্রবেশ না করিয়া এবং ভক্তিপূর্বক শাস্ত্র পাঠ না করিয়া যাহারা “অদ্বৈতবাদ” শব্দের উচ্চারণ মাত্রে ভয় পান তাহারা ইহার অমৃত-রসে বঞ্চিত রহিয়াছেন । ১৩৭ তত্ত্বমসি, মহাবাক্যের যেরূপ তাৎপর্য্য বিস্তারিত রূপে মিবেদন করিলাম সমুদয় মহাবাক্য গুলির তাৎপৰ্য্য তাহারই অনুযায়ী ; স্বতরাং অবশিষ্ট গুলির বিশেষ বিবরণ দেওয়া নিম্প্রয়োজন । * ১৩৮ ৷ মহাবাক্য সকল বেদান্ত-কল্পতরুর অক্ষয় ফল-মুখিপুষ্প স্বরূপ। পণ্ডিতেরা তাহার তাৎপৰ্য্য মাত্র জ্ঞাত হয়েন, কিন্তু শান্তস্বভাব সাধকেরাই তাহার পুষ্প ফল ভোগ করিয়া থাকেন । এই সকল মহাবাক্যের গভীরতম প্রদেশ পর্য্যন্ত প্রবেশ করিতে চেষ্টা করা সমুদয় ভগবৎ-ভক্ত লোকের প্রয়োজন । কারণ তদ্বারা নিশ্চয়ই কাম-কৰ্ম্ম-বীজ-স্বরূপিনী অবিদ্যার বুন্ধন মোচন হইতে পারে । ള്ളക്കൂr শঙ্করাচার্য্যের বৈদান্তিক মত। ১৩৯। বেদান্তশাস্ত্রে যেরূপ সূক্ষ অভিপ্রায়ে ব্রহ্মাত্মজ্ঞান ও জগদাত্মজ্ঞান অথবা ব্ৰহ্ম সত্য এবং জীব ও জগৎ মিথ্যা এই প্রকার মত প্রতিপাদিত হইয়াছে, তাহ সামান্যতঃ পুর্বোক্ত পারিভাষিক শব্দ সমূহের ব্যাখ্যা হইতেই জান৷