পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচার্য্যের বৈদাক্তিক মত । וכל যাইতেছে। এইক্ষণ শাঙ্কর-দর্শনে উক্ত প্রকার মত যে ভাবে আছে তাহাই বলিতেছি । - ১৪০ । উপনিষদে যে প্রেমপূর্ণ অদ্বৈতবাদ ছিল, ব্যাসসূত্রের ভাষ্যে, শঙ্কর তাহাই স্থাপন করিয়াছেন। তিনি যে কতদূর চিন্তাশীল ছিলেন তাহ তাহার ভাষ্য বেস করিয়া না পড়িলে বুঝা যায় না। আমরা এই বর্তমান সময়ে স্বার্থ ও বাহ আমোদেই উন্মত্ত। স্থতরাং শঙ্করের গভীর-জ্ঞান-সাগরে অবগাহন করিতে আমাদের অবসর, সাহস ও • উৎসাহ নাই | ১৪১। শঙ্করের অদ্বৈতবাদরূপ একার্ণবে ডুব দিয়া দেখিলে জগৎ এবং জীবের অস্তিত্ব সংস্কৃতরূপে দৃষ্ট হয়। ফলতঃ শঙ্কর-ভাষ্যের প্রত্যেক পত্র তদুভয়ের দ্বৈত-সত্তাকে কখন উছ কখন বা স্পষ্টরূপে প্রতিপন্ন করিতেছে। শঙ্কর স্বীয় ভাষ্যের অধিকাংশ স্থলে ঈশ্বরকে সৰ্ব্বাত্মারূপে দৃষ্টি করিয়া জীবকে তাহার দ্বারা সৰ্ব্বতোভাবে আবৃত করিয়াছেন । ব্রহ্মই জীবের অামিত্ব, ইহাই দৰ্শাইয়৷ জীবের স্বীয় আমিত্বকে গোপন রাখিয়া গিয়াছেন। সুতরাং আপাততঃ র্তাহার ভাষ্য-পাঠে বোধ হয় য়ে, জীব যেন ব্রহ্ম ভিন্ন অন্য কেহ নহে । এবং য়েখানে যেখানে জীবকে স্বতন্ত্র বলিয়া বোধ হয় সেখানেও আপাততঃ যেন তাহাকে মিথ্য স্বরূপ ও জড়ের ন্যায় দৃষ্ট হয় এবং ব্রহ্মকেই আত্মা অর্থাৎ জীবাত্মারূপে উপলব্ধি হইয়া থাকে। কিন্তু শঙ্করের এই স্থসূক্ষ অধ্যাত্মতত্ত্বের মধ্যে শ্রদ্ধাপূর্বক প্রবেশ করিলে জীবকে কখনই ব্ৰহ্ম অথবা মিথ্যা বলিয়া বোধ হয় না । শঙ্কর আপনার অদ্বৈতবাদের আপনি যে তাৎপৰ্য্য দিয়াছেন নিম্নে তাহাই দর্শাইয়৷ এই কথা সপ্রমাণ করিতেছি। . -