পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদত্ত প্রবেশ । "שלגי ১৪২। তিনি শারীরক সূত্রের ভাষ্য করিতে গিয়া অদ্বৈতবাদের একটি মূল যুক্তি উদ্ভাবন করিয়াছেন, এবং সেই যুক্তিই সমুদয় ভাষ্যে প্রতিপাদন করিবার সংকল্প করিয়াছেন। উক্ত যুক্তির সংক্ষেপ মৰ্ম্ম এই ৷ - ১৪৩ ৷ “যুষ্মৎ-প্রত্যয়-গোচর বিষয় এবং অস্মৎ-প্রত্যয় গোচর বিষয়ী এ উভয়ে পরস্পর তমঃ-প্রকাশবৎ বিরুদ্ধস্বভাব। স্বতরাং একের ভাব অন্যেতে সঙ্গত হয় না । ইহা সিদ্ধই থাকাতে, একের ধৰ্ম্মও অন্যেতে সংলগ্ন হওয়া অসম্ভব । এই হেতু অস্মৎ-প্রত্যয়-গোচর বিষয়ী চৈতন্যেতে স্থাৎ-প্রত্যয়গোচর বিষয়ের বা তদ্ধৰ্ম্মের যে অধ্যাস অথবা তাহার বিপরীত বিষয়ীর ধৰ্ম্ম-বিষয়েতে যে অধ্যাস তাহাকে মিথ্যা বলিয়া স্বীকার করা যায়। তথাপি সেই উভয়ের স্বরূপ বিবেচনায় অনবধানবশতঃ পরস্পরেতে পরস্পরের স্বরূপ ও ধৰ্ম্ম অধ্যাস করিয়া সত্যস্বরূপ পরমাত্মার সহিত মিথ্য জীবের ঐক্য-ভ্রান্তি প্রযুক্ত অত্যন্ত বিরোধী সেই ধৰ্ম্ম-ধৰ্ম্মীর স্বরূপ অনবধারণ জন্য লোকে আমি আমার ইত্যাদি অনাদিসিদ্ধ জ্বসত্য-ব্যবহার আবহমান চলিয়া আসিতেছে ”ঞ্চ । ১৪৪ ৷ শঙ্করের এই বাক্যের মধ্যে যে সকল শব্দ আছে অগ্রে তাহার অর্থ বুঝা যাউক, পশ্চাৎ সমুদয় যুক্তির তাৎপৰ্য্য বুঝিতে চেষ্টা করা যাইবে । ১৪৫ ৷ “যুষ্মৎ” শব্দে “তুমি”। “অন্মং” শব্দে “আমি”। “বিষয়’ শব্দে যাহাকে লইয়া ব্যবহার করা যায় । “বিষয়ী” শব্দে যে ব্যবহার করে। "ধৰ্ম্ম" শব্দে “গুৰু”। এবং পূর্বে • ক্রযুক্ত পণ্ডিত আনন্দচন্দ্র বেদাস্তবাগীশ মহাশয়ের কৃত ভাষা।