পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচার্য্যের বৈদাস্তিক মত। הלל বলিয়াছি যে, অধ্যাস শব্দে এক বস্তুতে অন্যবস্তুর জ্ঞান— ইহাকে “আরোপ”ও কহে । ১৪৬ ৷ এখন তাৎপর্য্যে মনোনিবেশ করা যাউক ৷ সাধনাকালে মানব পরমাত্মাকে “তুমি” বলেন এবং আপনাকে “আমি” বলেন। অতএব এখানে “তুমি’ শব্দ পরমাত্মাকে এবং “আমি” শব্দ জীবাত্মাকে নির্দেশ করিতেছে * । পরমাত্মাকে লইয়াই জীবাত্মার ব্যবহার । স্থতৱাং পরমাত্মা বিষয়, ধৰ্ম্ম ও গুণ ; জীবাত্মা বিষয়ী, ধৰ্ম্মী ও গুণী । কিন্তু তমঃ'ও প্রকাশ যেমুন পরস্পর রিরুদ্ধস্বভাব—উভয়ের মধ্যে ঐক্য নাই, তদ্রুপ, বিষয় আর বিষয়ীতে অর্থাৎ পরমাত্মা আর জীবীত্মাতে ঐক্য নাই। বিষয়কুপ পরমাত্মার ধৰ্ম্ম চৈতন্য, বিষয়ীরূপ জীবাত্মার ধৰ্ম্ম অহঙ্কারাদি । উহার এই সকল ধৰ্ম্ম পরমাত্মাতে আরোপ হইতে পারে না এবং পরমাত্মার ধৰ্ম্ম যে চৈতন্য বা জ্ঞান তাহাও জীবাত্মাতে আরোপ হইতে পারে না । কেন না ঐ উভয়ের ধৰ্ম্ম পরস্পর বিরুদ্ধস্বভাব। তথাপি সত্যস্বরূপ পরমাত্মার ধৰ্ম্মকে লোকে মিথ্যা জীবেতে অধ্যাস করত “আমি” “আমার” ব্যবহার করিতেছে। শঙ্করের এই সব কথার তাৎপৰ্য্য এখন বিশদরূপে বুঝিতে চেষ্টা করা যাউক । ১৪৬(ক) । তিনি পরমাত্মাকে সত্যস্বরূপ এবং জীবাত্মাকে মিথ্যা বলিয়াছেন। একথার তাৎপৰ্য্য এই যে, যদি পরমাত্মা না থাকিতেন তবে স্বষ্টি হইত না । আকাশ, বায়ু, জল প্রভৃতি সূক্ষ ও স্থল প্রপঞ্চ, জীব ও তাহার সূক্ষ ও স্কুল দেহ

  • “তুমি,” “আমি,” শব্দের ন্যায় বেদান্তশাস্ত্রে নানা স্থানে, “তৎ” “च्चश्', **তৎ’ “এতৎ", “স্বয়ং* “ख्ञनं,** “श्५,” “অহং” প্রভৃতি শব্দও এইরূপ ব্যাখায় গৃহীত হয় –পঃ দঃ ৬ । ৪৯ । । , -