পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ইe বেদত্ত প্রবেশ । প্রভৃতি কিছুই হইত না । স্বষ্টির প্রারম্ভে পরমাত্মা কেবল আপনাকে “আমি” বলিয়া এবং স্বস্টবস্তু সমুদয়কে “ইদং” বলিয়া জানিয়াছিলেন। সে সকল বস্তু স্বরূপতঃ মিথ্যাই, কেন ন৷ তিনি না স্বষ্টি করিলে তৎসমূহ প্রকাশ পাইত না । কেবল এই তাৎপৰ্য্য ব্যতীত ব্যবহারিক রূপে জগত ও জীবকে শঙ্কর মিথ্যা বলেন নাই। এই প্রকাণ্ড স্বষ্টির যে ভাগ জড় তাহা ব্ৰহ্মকেও জানে না, আপনাকেও । জানে না । যে আপনাকে জানে সেই আত্মা। এই স্বস্থির যে ভাগ জীব তাহাই আপনাকে জানে। তাহরাই প্রত্যেকে আপনাকে “আমি” বলিয়া জানে । কিন্তু জীবাত্মাতে পরমাত্মার বিশেষ অধিষ্ঠান ব্যতীত কি সাধ্য যে জীবাত্মা আপনাকে “আমি” বলিয়া অনুভব করে। জড়ের তো সেরূপ আমিত্ব-বোধে পারক হয় না। কেন হয় না ? না, তাহাদিগের মধ্যে পরমাত্মার সেই বিশেষ অধিষ্ঠান নাই যাহা জীবেতে প্রবেশ করিয়া জীবের অামিত্ব-বোধ প্রকাশ করিয়াছে। জড়েতে পরমাত্মার তাদৃশ আবির্ভাব কেন নাই ? এ কথার প্রতি শঙ্করের উত্তর এই যে, তিনি জড়কে আপনার সাদৃশ্য প্রদান করেন নাই। কিন্তু জীবকে আপন সাদৃশ্বাঞ্চ দিয়াছেন। কেবল এই সাদৃশ্য জন্যই জীবেতে তিনি প্রতিফলিত হন। রজতের প্রভা অঙ্গারে প্রতিফলিত হয় না, কিন্তু শুক্তিতে হইতে পারে। সেইরূপ ব্রহ্মের আত্মবোধ-উৎপাদক প্রভাব জড়েতে আবিভূত হইতে পারে না, কিন্তু জীবাত্মাতে পারে। যদিও

  • ইতিপূৰ্ব্বে ১২• ক্রম ও স্বষ্টিগ্রন্থে ৭৮ ক্রম দেখহ।