পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচাৰ্য্যের ৰৈদাস্তিক মত । ՖՀ 3 তথাপি ব্রহ্মের নিত্য অধিষ্ঠান ব্যতীত, তাহাকে নিয়ন্ত অবলম্বন ব্যতীত জীবাত্মাতে “আমি” বুদ্ধির উদয় হইতে পাৱে না। অতএব আত্ম-বুদ্ধি-শূন্য জড়বৎ উপাধিমাত্র দেহেন্দ্রিয়াদির অভিমানী যে মূল জীবাত্মা তাহাই প্রত্যেক দেহে বিশেষ বিশেষ । তাহার স্বভাব চেতন, তাহাই শরীরের অধ্যক্ষ, প্রাণের ধারায়তা এবং অহঙ্কারের আধার। তাহাই ভোক্তা ও শুভাশুভ কৰ্ম্মের কর্তা । কিন্তু তাহাতে যে “আত্মবুদ্ধি” জন্মে তাহ সেই পরমাত্মার আবির্ভাব ও অবলম্বন বশতঃ জন্মিয় থাকে,যিনি সামান্যতঃসকল জীৰে “আত্ম বুদ্ধি” প্রকাশ করিতেছেন। তাদৃশ প্রকাশ ব্যতীত জীবাত্মা আত্মীশব্দেরই বাচ্য হইত না । কিন্তু পরমেশ্বরের আবির্ভাবও যাহা, দৃষ্টি৪ তাহ, প্রতিবিম্বও তাহ, স্বরূপও তাহা—তাহা তাহারই আত্মস্বরূপ। স্বতরাং তিনিই স্বয়ং জীবের আত্মা অর্থাৎ জীবাত্মারূপে প্রকাশ পান। তাহাতেই জীবাত্মা আপনাকে আমি বলিয়া বোধ করে। । ১৪৭। এস্থানে বিচাৰ্য্য কথা এই যে, শঙ্কর প্রথমে বলিয়াছেন যে, জীবাত্মা ও পরমাত্মা তমঃপ্রকাশবৎ বিরুদ্ধস্বভাব—র্তাহাদের একের ধৰ্ম্মের অন্যে ঐক্য হয় না । শেষে বলিলেন যে, জীবাত্মাতে পরমাত্মার সাদৃশ্য থাকাতেই জীবাত্মা র্তাহা হইতে আত্ম-বোধ পাইতেছে। এই সাদৃশ্ব কি ঐক্যস্থল নহে ? ইহার উত্তর এই যে, সহস্ৰ সাদৃশ্য থাকিলেও উভয়ে একধৰ্ম্মী নহে । শুক্তি আর রজতে, রজ্জ্বতে আর সপে, স্থাপুতেঞ্চ আর পুরুষেতে যেরূপ সাদৃশ্ব তাহ যেমন

  • মুড়া গাছ ।