পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ বেদান্ত প্রবেশ । ঐক্য-বাচক নহে, পরমাত্মাতে আর জীবাত্মাতে যে সাদৃশ্য তাহাও সেইরূপ ঐক্য-বাচক নহে। অতএব জীবাত্মাতে “আমি” এইরূপ যে একটি আশ্চৰ্য্য আত্মবোধ আসিতেছে তাহ পরমাত্মারই আবির্ভাব। তাহাই লইয়া জীবাত্মা “জীবাত্মা” হইয়াছে। কিন্তু তথাপি তাহা জীবাত্মার নিজ ধৰ্ম্ম নহে। জীবাত্মার যাহা নিজ ধৰ্ম্ম তাহা যৎসামান্য অহঙ্কারাদি মাত্র । তাহাতে পরমাত্মীয় আমিত্ব তাদাত্ম্যভাবে সংলগ্ন হয় না, এবং পরমাত্মার ধৰ্ম্ম যে নির্বিশেষ চৈতন্য তাহাও জীবাত্মার ধৰ্ম্মে প্রয়োগ হইতে পারে না।', ১৪৮। যদিও উভয়ে এমত বিরুদ্ধধৰ্ম্মী, তথাপি লোকে পরমাত্মার আলম্বনেই “আমি” “আমার” ইত্যাদি বোধ লাভ করিয়া তাহ ঐ পূর্বোক্ত সাদৃশ্যবশতঃ জীব-ধৰ্ম্মে অধ্যাস করে। যিনি প্রকৃত “আমি” তাইকে লক্ষ্য না করিয়া তুচ্ছ এক জীবত্বেতে সেই “আমিত্ব’’ আরোপ করে। এবং কাজেকাজেই র্তাহাতে অর্থাৎ “আমি”তে শরীর, মন, বুদ্ধি, জীবাত্মা প্রভৃতির ধৰ্ম্ম অধ্যাস করিয়া থাকে । তাহাকে অনাত্মা জীবেতে বদ্ধ করিয়া আত্মা ও আমি করিয়া লয় এবং আপনার তদ্রপ আমিত্বকে অহংকারের সহিত বিমিশ্রণপূর্বক স্বতন্ত্র রাখিয়া পরমাক্সাকে “তুমি” বলিয়া সম্বোধন করে। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে উাহাকে তুমি বলা যাইতে পারেন । তিনি আমিই। তিনিই জীবাত্মা। আর জীবাত্মা যে সে তিনি অভাবে জড় স্থতরাং মিথ্যা । , - ১৪৯। পরমাত্মা জ্ঞান, আনন্দ ও সাক্ষী। জীবাত্মা মনোবুদ্ধি অহংকারের আধার, কর্তা ও ভোক্তা। জীবাত্মা অবিদ্যাবশতঃ পরমাত্মার আত্মপ্রত্যয় সিদ্ধ প্রকৃত ভাব না পাইয়া স্বীয়